ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হচ্ছেন সব শ্রেণির মানুষ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৪:৪২, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হচ্ছেন সব শ্রেণির মানুষ

স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধনের প্রথম যাত্রী হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছুক্ষণ পর তিনি উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও এসে নামবেন। তার সঙ্গে দুই শতাধিক যাত্রীও সঙ্গী হবেন। 

তাদের মধ‌্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোশাক কর্মী, রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

আরো পড়ুন:

মেট্রোরেল উদ্বোধনের উচ্ছ্বাসে এরই মধ‌্যে দিয়াবাড়ীর সুধী সমাবেশে জনতার ঢল নেমেছে।

দিয়াবাড়ী খেলার মাঠে তৈরি উদ্বোধনী মঞ্চে ১০টি চেয়ার রাখা হয়েছে। আর পেছনের ব্যনারে একপাশে বঙ্গবন্ধু, অপর পাশে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও মাঝখানে দুটি মেট্রোরেলের ছবি শোভা পাচ্ছে।

বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে ইতোমধ্যে মানুষকে মেট্রোরেলে সেবা দেওয়া হচ্ছে। কেবল চীনেই ৪৬টি মেট্রো সিস্টেম রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে রয়েছে ১৫টি করে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশও সেই দলে যোগ দিচ্ছে।

৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায়।

শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশন চলাচলের জন্য খুলে দিচ্ছে সরকার। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এই ট্রেন ধরেই উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে ৪০ মিনিট সময়ে।

এটি বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক মেট্রোরেলগুলোর একটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম এই মেট্রোরেল। তবে দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৩৮ মিনিট।

প্রথম দিকে স্থায়ী ও একক যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) টিকিট বা কার্ড মেট্রোরেল স্টেশন থেকেই কিনতে হবে, যা বাইরে পাওয়া যাবে না। ১০ বছর মেয়াদি স্থায়ী কার্ড কিনতে হবে ২০০ টাকা দিয়ে। এই কার্ডে যাতায়াতের জন্য টাকা ভরানো (রিচার্জ) যাবে। অন্যদিকে এক যাত্রার কার্ড নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করে নিতে হবে। ট্রেন থেকে নামার সময় তা রেখে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে স্টেশনের বাইরেও মেট্রোরেলের কার্ড বিক্রির জন্য কিছু প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

/পারভেজ/সাইফ/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়