ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বন্য হাতির তাণ্ডবে বসতবাড়ি তছনছ

শেরপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ৫ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৬:৩৩, ৫ নভেম্বর ২০২২
বন্য হাতির তাণ্ডবে বসতবাড়ি তছনছ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্য হাতি তাণ্ডব শুরু করেছে। বাড়িঘর ও ফসলি জমিতে আক্রমণ চালাচ্ছে প্রাণীগুলো। এরই মধ্যে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মোতালেবের বসতবাড়িতে তাণ্ডব চালায় হাতিগুলো। 

এদিকে এ ঘটনায় শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বসত বাড়ি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ। 

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী বন সংরক্ষক ও রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, গজনী বিট কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ও ইউপি সদস্য মো. রহমত উল্ল্যাহ প্রমুখ।

ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মোতালেব জানান, রাত আড়াইটার দিকে বন্যহাতির একটি দল আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। হাতিগুলো আমার বসত ঘরের সিমেন্টের খুঁটি, বেড়া, রান্না ঘর ভেঙে তছনছ করে ফেলে। বসত ঘরে থাকা আলনা, ফ্রিজ, হাঁড়ি-পাতিল, জামা-কাপড়সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পিষে নষ্ট করে। এসময় ঘরবাড়ি ফেলে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায় আমরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তান্ডব চালিয়েছে হাতির দল। শুধু তাই নয়; ঘরে রাখা চাল ও ধান নষ্ট করেছে ক্ষুধার্ত হাতির দলটি। এতে আমার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রহমত আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির দল হানা দিচ্ছে। বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে কাঁচা ধান, সবজি, গাছ-পালাসহ মানুষের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। 

সহকারী বন সংরক্ষক ও রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, গারো পাহাড়ে প্রতি বছরই বন্যহাতি খাদ্যের সন্ধানে প্রবেশ করে জানমালের ক্ষতি করে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়। বন বিভাগের আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা হবে। 

ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সহযোগিতা করা হবে। 

তারিকুল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়