ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আগুনে পুড়লো ৫ গাড়ি ও ১১ তলা ভবনের দুটি তলা

রাজশাহী সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪০, ২৫ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১২:৪৩, ২৫ নভেম্বর ২০২২
আগুনে পুড়লো ৫ গাড়ি ও ১১ তলা ভবনের দুটি তলা

রাজশাহীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি গ্যারেজে থাকা পাঁচটি গাড়ি এবং একটি ১১ তলা ভবনের দুটি ফ্লোর পুড়ে গেছে। পরে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।

এদিকে, আগুনের পর  নূরে হায়াত নামে ১১ তলা ভবনটির তিন তলার বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের ভেতরের দেওয়ালে ফাটল দেখা গেছে। বাসিন্দারা বলছেন, আগুন লাগার পর সবাই বাইরে চলে যান। পরে বাসায় ফিরে দেওয়ালে ফাটল দেখতে পান তারা। 

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এর আগে একই দিন ভোরের দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্থ  ভবনটির ১১তলা জুড়ে অন্তত ৪৫টি ফ্ল্যাটের কোনটিতেই বিদ্যুৎ নেই। ফলে অনেকেই যে যার মতো নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনের সূত্রপাত হয় ভবনের পাশের কার কেয়ার সেন্টার থেকে। পরে আগুন বহুতল ভবনের দোতলায় ছড়িয়ে পরে। এতে ভবনটির তিন ও চার তলা এবং উত্তর দিকের বাইরের পুরো দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ভোরের দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় পরে আরও ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। 

তিনি আরও জানান, মূলত কার কেয়ার সেন্টারে গাড়ির বিভিন্ন পদার্থ থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। এই সেন্টারের ভেতরে আগুন নেভানোর সময় অবিস্ফোরিত অসংখ্য দার্য্য পদার্থের বড় কৌটা পাওয়া গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানান, আগুন লাগার পরপরই গ্যারেজের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর উড়ে বাইরে এসে পড়ে। 

ওই গ্যারেজে কাজ করা এক কর্মী জানান, আগুনের সময় গ্যারেজের ভেতরে থাকা ৫টি গাড়ির প্রতিটিই পুড়ে গেছে। তাদের গাড়ি মেরামত করার স্বংয়ক্রিয় সন্ত্রপাতিসহ ভেতরে থাকা নগদ টাকাও পুড়ে গেছে। সব মিলিয়ে ৮ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের।

এদিকে নূরে হায়াত নামে ভবনটির দোতলায় অবস্থিত গ্র্যান্ড তোফা নামে একটি কনভেনশন সেন্টার পুড়ে গেছে। 

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত কুমার এই ভবনের ৬ তলায় থাকেন। তিনি বলেন, আগুনের পরপরই সবাই যে যার মতো ভবন থেকে বের হতে শুরু করে। লিফট বন্ধ থাকায় সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় অনেকে ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন সবাই আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। পুরো ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন কোনো বাসিন্দাই ইচ্ছা থাকলেও এখানে থাকতে পারছেন না।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, আগুনের খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ফোর্স দিয়ে জনগণকে নিরাপদে সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাজশাহীতে বহুতল ভবনে এতো বড়  আগুন লাগার ঘটনা এটিই প্রথম।

শিরিন সুলতানা/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়