ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

খুলনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ.লীগ প্যানেলের জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১০, ২৮ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১০:১৯, ২৮ নভেম্বর ২০২২
খুলনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ.লীগ প্যানেলের জয়

খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে জয় পেয়েছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। নির্বাচনে মোট ১৪টি পদেই তারা জয় পেয়েছেন। রোববার (২৭ নভেম্বর) রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এর আগে গত শনিবার নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের  প্রতিকার না পেয়ে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সদস্যরা নির্বাচন বর্জন করেন। 

জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত ফলাফলে জানা গেছে, সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ১০৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার খোকন পেয়েছেন ৭২ ভোট। 

সাধারণ সম্পাদক পদে ৯৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তারিক মাহমুদ তারা। এই পদে অ্যাডভোকেট এ কে এম শহিদুল আলম শহিদ পেয়েছেন ৯২ ভোট। 

বিজয়ী অন্য প্রার্থীরা হলেন- সহ সভাপতি এ, কে এম মিজানুর রহমান (৯৬৫ ভোট) ও শিরিন আক্তার পপি (৯৫৪), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তমাল কান্তি ঘোষ (৯৮৫), লাইব্রেরি সম্পাদক কাজী সাইফুল ইমরান (৯২৯), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান গাজী মিল্টন (৯৮১)। 

সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- ওমর ফারুক রনি (১০১১), সরদার আশরাফুর হমান দিপু (৯৬২), এস. এম আব্দুস সাত্তার (৯৫৭), প্রজেশ রায় (৯২৮), মো. মনিনুর ইসলাম মনির (৯১২), সাবিরা সুলতানা হ্যাপি (৯০২), খাদিজা আক্তার টুলু (৮৫৮) ভোট। 
ক‌মিশ‌নের দেওয়া তথ‌্যানুযায়ী, নির্বাচনে মোট ১ হাজার ৩৮৭ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন১ হাজার ১৮৪ জন। গতকাল রোববার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন মোল্লা লিয়াকত আলী এবং সদস্য হিসেবে মো. আহাদুজ্জামান ও নিমাই চন্দ্র রায় ছিলেন।

এদিকে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ভোট বর্জন, ভোট কেন্দ্রে না গেলেও নির্বাচন কমিশন দ্বারা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ ভোট প্রয়োগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন খুলনা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের নেতারা।

তারা বলেছেন, এক তরফা ভোটের ফল কারচুপি করে সর্বোচ্চ ১১৮৪ ভোট প্রয়োগ দেখিয়েছে তথাকথিত নির্বাচন কমিশন। 

এক বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ভোট কেন্দ্রের মধ্যে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকতে পারবেন না বলে দাবি জানালেও কমিশন সে দাবির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুগুলি দেখিয়েছেন। বাধ্য হয়ে ৩ সদস্যের কমিশন থেকে এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন। একইভাবে আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত সভাপতি প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার খোকন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এ কে এম শহিদুল আলমসহ পরিষদের সব প্রার্থী লিখিতভাবে নির্বাচন বর্জন করেন। কিন্তু একতরফা নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট প্রয়োগ দেখানো খুলনা আইনজীবী সমিতির বিগত নির্বাচনি ঐতিহ্যে কলঙ্কের কালিমা লেপনের সামিল। আইন পেশার মত একটি মহৎ পেশার প্রতিনিধি নির্বাচনে এহেন ঘটনা জনমনে নানা প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে। খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির ১৪০ বছরের ইতিহাসে কোনো প্যানেলের সব সদস্যের ভোট বর্জনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। 

বিবৃতিদাতারা হলেন- সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সিনিয়র কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল বারী, কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন রনি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নরুল হাসান রুবা, অ্যাডভোকেট বজলার রহমান, অ্যাডভোকেট এস আর ফরুক, অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস, অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল আজিজ, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট. মাসুম রশিদ, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান নান্নু।

নূরুজ্জামান/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়