ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মোংলা-গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার সঞ্চালন লাইন চালু

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ০৯:৫৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২
মোংলা-গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার সঞ্চালন লাইন চালু

পদ্মায় নির্মিত বৈদ্যুতিক টাওয়ারের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ গ্রিড সাবস্টেশন প্রান্ত থেকে ৪০০ কেভি ভোল্টেজ দিয়ে মোংলা-গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার সঞ্চালন লাইন পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। এর ফলে পটুয়াখালীর পায়রা কিংবা সামনে উদ্বোধন হতে যাওয়া বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ঢাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালনে আর কোনো বাঁধা থাকছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ থেকে আমিনবাজার গ্রিড সাবস্টেশন পর্যন্ত লাইনটির দৈর্ঘ্য ৮২ দশমিক ৫ কিলোমিটার। যার মধ্যে পদ্মা নদীতে ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রিভারক্রসিং রয়েছে। গোপালগঞ্জ থেকে আমিনবাজার লাইনটিতে মোট ২২৬টি টাওয়ার রয়েছে। এর মধ্যে খরস্রোতা পদ্মা পাড়ির জন্য নদীতে এবং নদীর দু'প্রান্ত মিলে মোট ১১টি সুউচ্চ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর দুই কিলোমিটার ভাটিতে বসানো এই লাইন দিয়ে ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চলন করা যাবে। 

আরো পড়ুন:

চার লাখ ভোল্টেজ দিয়ে চালুর পর লাইনটি উচ্চ ভোল্টেজে ৪০০ কেভিতে বিদ্যুতায়িত থাকবে। সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহণ, গবাদিপশু বাঁধা, রশি টাঙ্গিয়ে কাপড় ঝোলানো এমনকি সঞ্চালন লাইনের পাশ দিয়ে বৃক্ষ ও বাঁশ রোপণ না করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

পদ্মায় সঞ্চালন লাইনের কাজ এমন সময় শেষ হলো, যখন বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণাধীন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর তোড়জোড় চলছে। ১৬ ডিসেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট (৬৬০) মেগাওয়াট সম্ভাব্য বাণিজ্যিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘সঞ্চালন লাইনের সার্বিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পিজিসিবি কর্তৃক নবনির্মিত আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরীক্ষামূলকভাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে চালু হয়েছে। এতে রামপাল ও পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো।  পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বৈদ্যুতিক টাওয়ারেরর মাধ্যমে রামপাল ও পায়রা কেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্প ব্যয় আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। আর এই পদ্মা সেতু প্রকল্পের আওতায় সাতটি প্লাটফর্ম নির্মাণে খরচ হয়েছে আরও প্রায় ৬৭০ কোটি টাকা। এই লাইনে ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন সম্ভব হবে।’

বাদল সাহা/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়