ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কুমিল্লা নগরীতে এক লাখ মানুষের জন্য একটি গণশৌচাগার

কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০১, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১৬:০১, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩
কুমিল্লা নগরীতে এক লাখ মানুষের জন্য একটি গণশৌচাগার

গণশৌচাগারের অভাবে প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নারী এবং নগরীর বাইরে থেকে নিত্যকাজে আসা সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

কুসিক-এর হিসাব অনুযায়ী কুমিল্লা নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। এ ছাড়া শহরে অস্থায়ীভাবে বাস করেন আরো ১ লাখেরও বেশি মানুষ। কিন্তু ৬ লাখ মানুষের জন্য শহরে গণশৌচাগার রয়েছে মাত্র ৬টি। অর্থাৎ প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য গণশৌচাগার মাত্র একটি। এর মধ্যে নগরীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে কোনো শৌচাগার নেই। নগরে যে ৬টি গণশৌচাগার রয়েছে সেগুলো অপরিচ্ছন্ন এবং অব্যবস্থাপনায় ব্যবহারের অনুপযোগী। 

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) নগরীর ৬টি গণশৌচাগারে সরেজমিনে দেখা যায়, শৌচাগারগুলোর বেশির ভাগই দরজা, ছিটকিনি এমনকি বদনা নেই। কোনো কোনো শৌচাগার ময়লা-আবর্জনায় ভরা। আবার কোনোটির কমোড ভাঙা।

গণশৌচাগার নিয়ে নগরীতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় কান্দিরপাড় এলাকার ভাসমান মানুষের। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী চলাচল করে। বিশেষ করে বিকালের পর থেকেই নগরীর টাউন হল মাঠে ব্যস্ততা শেষে অবসর সময় কাটাতে আসেন অনেকে। কিন্তু এ এলাকায় পাবলিক টয়লেট না থাকায়, টাউন হলের তিন পাশে যত্রতত্র স্থানে আগতদের প্রস্রাব করতে দেখা যায়। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। 

নগরীর রেল স্টেশন এলাকার পাবলিক টয়লেটে গিয়ে দেখা যায়, অপরিষ্কার কমোড হলুদ হয়ে গেছে, ভাঙা বেসিন, মেঝেতে জমেছে পানি। সংস্কারের অভাবে উৎকট গন্ধে সেখানে থাকা দায়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. নিলুফা পারভীন বলেন, সময় মতো প্রাকৃতিক কাজ না করলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে সাধারণ মানুষ। নগরীতে গণশৌচাগার থাকা জরুরি। টয়লেট ব্যবহার করতে না পারায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন শ্রম ও পেশাজীবি নারীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, কুমিল্লায় পরিবেশ স্বাস্থ্য উপযোগী করে রাখার জন্য পাবলিক টয়লেটের বিকল্প নেই। জনসংখ্যার তুলনায় শহরে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা না গেলে নানা অসুবিধা তৈরি হবে। পরিকল্পনাহীনতা এ জন্য দায়ী। সিটি করপোশন শুরু থেকেই গণশৌচাগারে নজর দেয়নি। 

সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি গণশৌচাগার থাকা উচিত বলে মনে করেন এই পরিবেশকর্মী। 

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত বলেন, শহরে পর্যাপ্ত পরিমান গণশৌচাগার হবে। আমরা নতুন করে টেন্ডার করবো। এ ছাড়া কান্দিরপাড় এলাকায় পুলিশ বক্সের সাথে একটি গণশৌচাগার করার পরিকল্পনা আছে। জায়গা দেখছি। আশাকরি এ সমস্যার সমাধান হবে।

রুবেল/তারা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়