ঢাকা     বুধবার   ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৭ ১৪৩১

ব্যস্ত দর্জিপাড়া 

মোসলেম উদ্দিন, দিনাজপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১০, ৩০ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ২০:১৯, ৩০ মার্চ ২০২৩

সামনেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে কাস্টমারদের দেওয়া নতুন কাপড়ের পোশাক তৈরিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের হিলির দর্জি কারিগর ও মালিকরা। 

হিলি শহরসহ বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের হাট ও বাজারের দর্জি দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে সেলাই কাজের অনেক অর্ডার পাচ্ছেন কারিগররা। প্রত্যেক কারিগর দিনে তৈরি করছেন ৭-৮টি পোশাক। বেশ কিছুদিন বাকি আছে ঈদের, এখনও অর্ডার বন্ধ করেনি টেইলার্স মালিকরা। তবে প্রতিটি সেলাই কারখানায় কারিগররা মনের আনন্দে কাজ করছেন। 

হিলি বাজারের মাহি টেইলার্সের কারিগর রাজু ও রিয়াজ রাইজিংবিডিকে বলেন, গত কয়েক বছর করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ ছিল। লকডাউনের জন্য দোকানপাট ঠিকমতো খুলতে পারিনি। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। বর্তমান করোনা নেই। কিছুদিন পর ঈদ। এবার মানুষ অনেক কাপড় তৈরি করতে দিচ্ছে। আশা করছি ঈদ আমাদের ভালো কাটবে।

হিলি বাজারের বাদশা টেইলার্সের তিন জন কারিগর রফিকুল, আনিছ ও ইকবাল হোসেন। তারা বলেন, হাতে প্রচুর কাজ। প্রতিদিন ৭-৮টি কাপড় সেলাই করছি। ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা মজুরি পাচ্ছি। গত বছরের চেয়ে এবার আমরা পরিবার নিয়ে ঈদ ভালোই কাটাবো।

মদিনা বোরখা হাউজের মালিক ও কাটিং মাস্টার সাবিনা ইয়াসমিন রাইজিংবিডিকে বলেন, হাতে মোটামুটি কাজ আছে। আমি একাই দোকানের অর্ডার এবং কাজ করছি। এখনও ঈদের অনেকদিন বাকি আছে, আশা করছি আরও অর্ডার পাবো।

বাজারের খান টেইলার্সের মালিক ও কাটিং মাস্টার বাদশা রাইজিংবিডিকে বলেন, পাঞ্জাবির অনেক কাজ পাচ্ছি। আমার কারখানায় ১০ জন কারিগর আছে। তাদেরও অনেক কাজ দিচ্ছি। দোকানে অনেক কাপড়ের অর্ডার আসতেছে। এগুলো সেলাই করতে কারিগররা ব্যস্ত সময়ের পার করছেন। আর কয়েকদিন পর অর্ডার বন্ধ করে দেব।

মনিষা টেইলার্সের মালিক ও কাটিং মাস্টার রোমেনা আক্তার মনি বলেন, আমার বাড়িতে কারখানা। এখানে চার জন কারিগর কাজ করে। মেয়েরা আমার কালেকশন করা কাপড় কিনে তা এখানেই তৈরি করেন। ঈদের জন্য প্রচুর কাজের অর্ডার পাচ্ছি। কারিগররাও এবার রাত-দিন কাজ করবেন। আশা করছি আমরা সবাই ঈদের আনন্দ সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারবো।

দিনাজপুর/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়