কেসিসি নির্বাচন: প্রার্থী হয়ে বহিষ্কার হচ্ছেন বিএনপির ৮ নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়া বিএনপির ৮ নেতা দল থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন। দল থেকে তাদের আজীবন বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে খুলনা বিএনপি। এ ছাড়া সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মীই ভোট দিতে যাবেন না বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা রোববার (২৮ মে) বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়া ৮ জন দু-এক দিনের মধ্যে দল থেকে বহিষ্কার হবেন। নেতাকর্মীকে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বহিষ্কারের সুপারিশপ্রাপ্তরা হলেন-
৫ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে একই ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক আশফাকুর রহমান কাকন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব কায়সার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ফজলুল কবীর টিটো, ২৪ ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি শমসের আলী মিন্টু, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহ আমান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে দৌলতপুর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম মোসফেকুস সালেহীন ও সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মাজেদা খাতুন। তবে মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, কেউ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ১৩১ জন। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। ভোট পড়েছিল ৩ লাখ ৬ হাজার ৬৩৬টি; অর্থাৎ ৬২ শতাংশ।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছিলেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট।
নুরুজ্জামান/বকুল