ঢাকা     রোববার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

টানা বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জ শহরে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে রেলপথ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪১, ৬ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ১৩:৪১, ৬ অক্টোবর ২০২৩
টানা বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জ শহরে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে রেলপথ

ছবি: রাইজিংবিডি

টানা বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় দেড় থেকে দুই কিলোমিটার ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রেলপথ। এতে সমস্যায় পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়িতে পানির পরিমাণ হাঁটু ছাড়িয়ে গেছে। রাস্তায় ও অলি-গলিতে পানি জমে আছে দুই থেকে তিনফুট পর্যন্ত।

গত দুই দিনের বৃষ্টিপাতের সাথে বৃহস্পতিবার সারাদিন ও সারারাত অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। এতে শহরের বিভিন্ন ছোট-বড় পুকুর নিচু জায়গা ভরাট হয়ে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও রাস্তায় ঢুকে পড়েছে।

তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সারা শহরের প্রায় অধিকাংশ রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরা। পাশাপাশি ড্রেনেজ-ব্যবস্থা পুরোটাই অচল। তাই বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানপাটের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। এমনকি কাটিকাটা এলাকায় রেলক্রসিংসহ প্রায় দেড় থেকে দুই কিলোমিটার ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রেলপথ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, পৌর এলাকার নগুয়া, বত্রিশ, গাইটাল, কাটিকাটা, শোলাকিয়া, বড়বাজারসহ প্রায় সব এলাকার রাস্তাঘাট ও নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে ড্রেনের নোংরা পানিও বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতেও ঢুকে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সেসব এলাকার বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টিতে ফসলের জমি, মাছের পুকুরসহ তলিয়ে গেছে। পুকুর ভরাট হয়ে মাছ বের হয়ে পড়েছে, এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে স্থানীয়রা।

কাটিকাটা এলাকার বাসিন্দা আলী রেজা সুমন বলেন, আমি আমার বয়সে এমন অতিভারী বৃষ্টি দেখিনি। গত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো থাকলে হয়তো পানি দ্রুত নিষ্কাশন সম্ভব হতো।

নগুয়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এ এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ও অলিগলির ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং রাস্তার বেহাল অবস্থা। অল্প বৃষ্টিতেই এখানকার দোকানপাট, কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও বাসাবাড়ির মানুষ কষ্ট করছে। আর গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আমরা এলাকাবাসী গৃহবন্দি হয়ে পড়েছি। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান চাচ্ছি।

পৌর মেয়র মো. পারভেজ মিয়া বলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকার নতুন ড্রেন তৈরিসহ নানাবিধ কার্যক্রম চলমান। আশা করি এসব কাজ শেষ হলে পৌরবাসী এর সুফল ভোগ করতে পারবে। তাছাড়া গত রাতের ভারী বৃষ্টির কারণে যেসব এলাকার জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে পৌরসভার কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।

/রুমন চক্রবর্তী/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়