ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

৩০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ১৮৬!

তারিকুল ইসলাম, শেরপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৫, ১ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২২:১৬, ১ ডিসেম্বর ২০২৩
৩০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ১৮৬!

শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের ৩০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি আছে ১৮৬ জন। হাসপাতালের পঞ্চম তলায় শিশু ওয়ার্ডে বেডে জায়গা না হওয়ায় বারান্দায় শয্যা পেতে চলছে শিশুদের চিকিৎসা। ফলে এতো সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শীতের শুরুতে শিশুদের নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়াতেই এই অবস্থা। 

এদিকে, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলা হাসপাতালের দুই জন চিকিৎসক এই হাসপাতালে দুই দিন করে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করলেও তা অপ্রতুল বলে দাবি করেছেন রোগীদের স্বজনরা। 

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডের শয্যাগুলোর একটিও ফাঁকা নেই। কোনো কোনো শয্যায় একাধিক শিশুকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শয্যা না থাকায় বেশির ভাগ শিশুকে মেঝেতে রেখে স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছিল। রোগীর স্বজনের দাবি, যেহেতু শিশুরা ঠান্ডায় আক্রান্ত তাই মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) খায়রুল কবির সুমন জানান, বর্তমানে এই হাসপাতালে ১৮৬ জন রোগী ভর্তি আছেন।

শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. কহিনুর জাহান শ্যামলী জানান, আবহাওয়ার কারণে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ২ থেকে ৩ মাস বয়সী শিশুরা নিউমোনিয়া ও ৬ মাস থেকে দেড় বছর বয়সের শিশুদের ব্রঙ্কাইটিস রোগ হচ্ছে। এছাড়া, ঠান্ডাজনিত জ্বর, টাইফয়েডে আক্রান্ত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন অনেক শিশু। 

তিনি আরও জানান, শিশু ওয়ার্ডের স্টাফ নার্স ছাড়াও স্টুডেন্ট নার্স ও ম্যাটসের ইন্টার্নরত সদস্যরা আমাদের সহযোগিতা করলেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে, আমরা সীমিত জনবল নিয়ে সর্ব্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে প্রতিটি রোগীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, সদর হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থা বেশি। তাই সেখানে প্রচুর রোগী আসেন। হাসপাতালে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া আমাদের হাতে নেই। আমরা সীমিত জনবল দিয়ে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করছি। শিশুদের যেন শীতকালীন রোগ না হয় সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

/মাসুদ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়