ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

ঘুমে বিরক্ত করায় শিক্ষককে পেটালেন দুই ছাত্র

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২০:৫৮, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ঘুমে বিরক্ত করায় শিক্ষককে পেটালেন দুই ছাত্র

ঘুমে বিরক্ত করায় এক মাদরাসা শিক্ষককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া কওমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটে। আহত শিক্ষককে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন- আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের রাওঘা গ্রামের মামুন মৃধার ছেলে ইমাম হোসেন ও পটুয়াখালীর আমখোলা গ্রামের জিহাদ হোসেন। তারা হলদিয়া কাওমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।

মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার্থীদের ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য প্রতিদিনের মতো ডাকতে যান আরবি শিক্ষক হাফেজ মো. জামিল হোসেন রাফি। একাধিকবার ডাকার পরেও দুই শিক্ষার্থী না ওঠায় তাদের রুমে প্রবেশ করেন ওই শিক্ষক। তিনি দুই শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে ওঠানোর চেষ্টা করেন। এসময়  ইমাম হোসেন ও জিহাদ হোসেন শিক্ষকের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে শুরু করে। এরপর তারা শিক্ষককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। মারধরের কারণে শিক্ষকের কানের ওপরের অংশ মাথা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে অন্য শিক্ষকরা স্থানীয়দের সহায়তায় শিক্ষক রাফিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. জায়েদ আলম ভুক্তভোগী শিক্ষককে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। 

আহত শিক্ষক হাফেজ মো. জামিল হোসেন রাফি মুঠোফোনে বলেন, ‌‘ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম হোসেন ও জিহাদ আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে।’

কওমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে দুই ছাত্র লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে। 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. জায়েদ আলম বলেন, কানের আঘাত গুরুতর ছিল। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে ওই শিক্ষকের। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিক্ষককে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আমরা মৌখিকভাবে ঘটনা জানতে পেরেছি। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইমরান/মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়