ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

রাজশাহীতে বৃষ্টি, আমের জন্য আশীর্বাদ

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৬:২২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজশাহীতে বৃষ্টি, আমের জন্য আশীর্বাদ

আর কয়দিন পরেই আমের মুকুলে ভরে যাবে বাগানগুলো। গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে মুকুল উঁকি দিতে শুরু করেছে। এরমধ্যে এক পশলা বৃষ্টি আশির্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীতে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর আকাশে ঝলমলে রোদও উঠেছে।

গাছে মুকুল আসার এই সময়ে বৃষ্টির পর ঝলমলে রোদ আমের জন্য খুবই ভাল বলে জানাচ্ছেন কৃষক আর কৃষি কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, এই বৃষ্টিতে গাছের গোড়ায় একটা সেচ হয়ে গেছে। পাতায় পাতায় জমে থাকা ধুলোবালি ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে। এখন গাছে ভালভাবে সালোকসংশ্লেষণ হবে। বৃষ্টির কারণে গাছগুলো নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৩৫ মিনিটে। আর বৃষ্টি শুরু হয়েছে ৫টা ৫০ মিনিট থেকে। অর্থাৎ ভোরের আলো ফোটার আগেই ফাল্গুনের বর্ষণে ভিজেছে রাজশাহী। বৃষ্টি চলেছে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি, আবার কখনও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। এতে শুষ্ক বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাণ-প্রকৃতিতে ফিরেছে সতেজতা। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর আকাশে সূর্য উঠে যায়। ঝলমলে রোদে ভরে ওঠে প্রকৃতি।

এই বৃষ্টিতে আমের খুব উপকার হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর পবার বড়গাছি এলাকার আমচাষি আনিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই গাছে গাছে মুকুল আসবে। তাই গাছের গোড়ায় প্রতিদিনই সেচ দিচ্ছি। পাইপের মাধ্যমে গাছের পাতাতেও পানি ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এই কাজটিই করে দিয়েছে বৃষ্টি। কিছু গাছে ইতোমধ্যে মুকুল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পর রোদ না হলে এগুলোর ক্ষতি হতো। তবে বৃষ্টির পর রোদ উঠে যাওয়ায় কোনো ক্ষতি হবে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, এখন গাছে মুকুল আসবে। কিছু গাছে ইতোমধ্যে মুকুল দেখা দিয়েছে। এই সময়ে গাছের প্রচুর খাদ্য দরকার। কিন্তু দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না থাকলে গাছের পাতায় ধুলোবালি জমে গিয়ে খাদ্য তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়। এই বৃষ্টিতে ধুলোবালি ধুয়ে পাতা চকচকে সবুজ হয়ে গেছে। এখন গাছের খাদ্য তৈরি হবে বেশি। ফলে আমের ভালো ফলন হবে। এই বৃষ্টিটা খুব দরকার ছিল।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির পর রোদ না উঠলে যে গাছে মুকুল চলে এসেছে, সেই মুকুলের ক্ষতি হতো। কিন্তু রোদ উঠে যাওয়ায় ওই ক্ষতি হবে না। বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজেরও উপকার হবে। এই বৃষ্টির কারণে কোনো ফসলের ক্ষতি হয়েছে; এ রকম কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত আসেনি।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ধরনের বৃষ্টি সাধারণত কিছু সময় পরেই থেমে যায়। এ দিনও তাই হয়েছে।

কেয়া/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়