ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

বরিশালে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসার চেষ্টা

বরিশাল সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২২:২৩, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বরিশালে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসার চেষ্টা

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানলেও জানেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

তার অগোচরেই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। তবে মিমাংসার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য।

মেহেন্দিগঞ্জের আলিমাবাদ ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন ঘটনার শিকার ছাত্রীর মায়ের বরাত দিয়ে জানান, ওই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান শেষ করে দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয় থেকে গাগুরিয়ায় তার গ্রামের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গাগুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা টুলু মাতব্বরের ছেলে সজিব মাতব্বর (২৫) মেয়েটিকে আটকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ের মা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান। ঘটনা শুনে তিনি (প্রধান শিক্ষক) বিষয়টি স্কুলের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীরকে জানান। তবে ভুক্তভোগীর মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। কিন্তু তিনি শুনেছেন ধর্ষণের ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি সদস্য বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেখানে সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, অভিভাবকরা আমাকে কিছু জানায়নি। তবে আমি ঘটনাটি শুনে স্কুল ম্যানেজিং কমিটিকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে সালিসি করার অধিকার কারও নেই বলে জানিয়ে আলিমাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান এমরান হোসেন বাপ্পি জানান, তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

আলিমাবাদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন স্থানীয় সালিস বৈঠকের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার এসআই হাসান বশির জানান, তিনি থানার বাহিরে কাজে আছেন পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম জানান, তিনি এ ধরনের ধর্ষণের কোনো ঘটনা জানেনই না। তবে খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিবেন।

আরিফুর/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়