ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

৭ কোটি টাকার সেতুটি কোনো কাজে আসছে না

কাওছার আহমেদ, টাঙ্গাইল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৫:০১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
৭ কোটি টাকার সেতুটি কোনো কাজে আসছে না

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর প্রায় সোয়া সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কোনো কাজে লাগছে না। সংযোগ সড়ক বা অ্যাপ্রোচ না থাকায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না সেতুটি। এতে দীর্ঘদিন দুর্ভোগে রয়েছেন চারটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের গাফিলতিতে এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাত কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে পোড়াবাড়ি কাতুলী সড়কের ধলেশ্বরী নদীর উপর ১০০ মিটার চেইনেজে ৯০ মিটার গার্ডার সেতু নির্মানের কাজ পায় মেসার্স তাপস ট্রেডার্স নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সেতুটির কাজ ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয়দের দাবি, ২০২৪ সালের শুরুতে সেতুটির মূল অবকাঠামোর কাজ শেষ করেছে ঠিকাদার।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়নি। সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছেন স্থানীয়রা। 

সেতুর পাশেই কাতুলীসহ কয়েকটি ইউনিয়নে যাওয়ার কাঁচা রাস্তা। বর্ষার সময় সেই কাঁচা রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যায়। এদিকে সেই কাঁচা রাস্তা থেকে সেতুতে উঠতে প্রায় ২৫ ফিট উঁচু করে মাটি ভরাট করতে হবে। এছাড়া সেতুতে চলাচলের মত কোনো উপায় নেই। 

স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল বলেন, সেতুর পাশেই আমাদের পৈতৃক জায়গা। আমরা ভাই বোন সবাই এর মালিক। এই জায়গার মধ্য আমাদের গাছপালা রয়েছে, সে হিসাবে আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য কাদের জোয়াদ্দার বলেন, এই জায়গার মালিকানা রয়েছে। সেই হিসেবে তারা ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৯ লাখ টাকা দাবি করেছে। 

পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এই সেতু এভাবে পড়ে আছে। ঠিকাদার এখানেতো আসেনই না, কোনো খোঁজ খবরও নেন না। তিনি যদি ঠিকমত কাজ করতেন তাহলে দুই বছর আগেই এই সেতু দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারতো।

এ বিষয় মের্সাস তাপস ট্রেডাসের ঠিকাদার শরীফ মাহমুদ বলেন, আমার সেতুর মূল অবকাঠামোর কাজ অনেক আগেই শেষ করেছি। শুধু সেতুর অ্যাপ্রোচের কাজটি বাকি রয়েছে। সেটিও শেষ হত। শুধু এলাকার কিছু লোক কাজে বাধা দেওয়ার কারনে পারিনি। তারা বলছে সেতুর অ্যাপ্রোচের মধ্য ব্যক্তিগত জমির মালিকানা আছে। সেই জায়গার মূল্য হিসাবে ৯ লাখ টাকা দিতে হবে। কিন্তু আমি যতটুকু জানি অ্যাপ্রোচের জায়গাটুকু খাস জায়গায়। 

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার মো. ফজলুর রহমান বলেন, সেখানে ভূমি অধিগ্রহণের কিছু কাজ রয়েছে। আশা করছি সেটা দ্রুত সমাধান করে অ্যাপ্রোচের কাজ শেষ করা হবে।

/কাওছার/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়