ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

দেনাদারের বাসায় পাওনাদারের লাশ, গ্রেপ্তার ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
দেনাদারের বাসায় পাওনাদারের লাশ, গ্রেপ্তার ১

ফাইল ফটো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাওনা টাকার জেরে বাড়িতে ডেকে মো. মোরসালিন (২৬) নামে এক যুবকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে সোহরাব মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে হত্যার দায় স্বীকার করে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। 

গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের দেনাদার আব্দল্লাহর তালাবদ্ধ বসতঘর থেকে মোরসালিনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহত মোরসালিন উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। হত্যার দায় স্বীকার করা সোহরাব মিয়া (২০) উপজেলার শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা। প্রধান অভিযুক্ত মো. আবদুল্লাহ মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে পরিবারসহ আবদুল্লাহ পলাতক।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মোরসালিন পলাতক থাকা আবদুল্লাহর কাছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পেতেন। পরিকল্পিতভাবে নিজ বাড়িতে ডেকে মোরসালিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তালাবদ্ধ ঘরে লাশ ফেলে পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান আবদুল্লাহ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার সকাল থেকে শিবনগর গ্রামে আবদুল্লাহ’র বাড়িটি তালাবদ্ধ ছিল। বিকেল পর্যন্ত ওই বাড়িটি তালা দেওয়া দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা আখাউড়া থানা পুলিশকে খবর দেন। রোববার বিকেলে পুলিশ আবদুল্লাহ’র বসত ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বস্তায় বাঁধা অবস্থায় মোরসালিনের লাশ উদ্ধার করে। রাতে ময়নাতদন্তের জন্য নিহেতর লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। 

সোমবার সকালে নিহতের বড় ভাই হাকিম ভূইয়া বাদী হয়ে আবদুল্লাহ, হৃদয়, সোহেল ও রিফাতসহ ৮ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে দুপুর ২টার দিকে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে শিবনগর গ্রাম থেকে সোহরাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে, তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। বিকেল ৫টার দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলমের কাছে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম বলেন, সোহরাবসহ মোট ছয়জন মিলে মোরসালিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। গত শনিবার রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা মোরসালিনকে আবদুল্লাহ’র বসতবাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে আসামিদের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে মোরসালিনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা দুই পা শিকল দিয়ে এবং গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মোরসালিনকে হত্যা করে। পরে মোরসালিনের লাশ বস্তায় ভরে বসতঘর তালাবদ্ধ করে আসামিরা পালিয়ে যান।  

তিনি আরও বলেন, নিহত মোরসালিনের বিরুদ্ধে চারটি মাদক মামলা রয়েছে। আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মাদকের ১১টিসহ মোট ১৬টি মামলা রয়েছে।

মাইনুদ্দীন/মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়