ঋণের মামলার আসামির লাশ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল
পিরোজপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
পিরোজপুরে মঠবাড়িয়া উপজেলায় ঋণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামি আব্দুল হালিম মৃধার (৪৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঠবাড়িয়া পৌরসভার সবুজনগর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত হালিম মৃধা ওই এলাকার মান্নান মৃধার ছেলে। তিনি পেশায় ঠিকাদার ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে তার কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের মেঝো ভাই মামুন মৃধা অভিযোগ করেছেন, হালিম মৃধাকে হত্যা করা হয়েছে। আর পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আব্দুল হালিম মৃধার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিজ এলাকায় বোন রুনি বেগমের ঘরে থাকতেন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ ওই এলাকায় যায়। এমন খবর পেয়ে ঘরের পাশে থাকা সুপারি গাছ বেয়ে বা ঘর থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফেরদাউস ইসলাম জানান, তাকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই ঠিকাদারের অনেক টাকার ঋণ রয়েছে। ঋণের অভিযোগের মামলায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ওই এলাকায় ওই রাতে পুলিশ গিয়েছিল। পুলিশের গাড়ির হর্নের শব্দ শুনে তাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছে— এমন ভাবনা থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে ওই রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে যায়নি বলে জানান ওসি।
ওসি শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।
মৃত হালিম মৃধার ভাই মামুন মৃধা তার ভাইকে হত্যার দাবি করলেও বিস্তারিত কিছু বলেননি।
তাওহিদুল/বকুল