স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ 

লক্ষ্মীপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে জিহাদ হোসেন জিকু নামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। প্রবাসীর বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার জেরে প্রতিপক্ষ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর পরিবারের।

রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে লাহারকান্দি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহত জিকু লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র এবং লাহারকান্দি গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী রুহুল আমিনের ছেলে।

আরও পড়ুন: প্রবাসীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সহিদ গংদের সঙ্গে প্রবাসী রুহুল আমিনের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মো. জসিমের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল রুহুলের বাড়িতে গিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তারা দরজা জানালা ভাঙচুর করে এবং এক ভরি স্বর্ণ, মোবাইল ফোন ও নগদ ৮৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সেসময় বাঁধা দিলে রুহুলেরর স্ত্রী জোসনা বেগমসহ ৫ জনকে মারধর করে অভিযুক্তরা। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় রুহুল আমিনের স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আজ রোববার লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রুবেলের নের্তৃত্বে ১০/১৫ জন জিকুকে মারধর করে।

ভুক্তভোগীর মা জোসনা বেগম বলেন, স্থানীয়রা জিকুকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ায় জিকুকে হত্যা করতে মারধর করা হয়। তিনি পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন। 

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার (ইএমও) ডা. এ কে আজাদ বলেন, স্কুল ছাত্র জিকুকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিটি স্ক্যান রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে। তার প্রচুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। 

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ঘটনাটি কেউ পুলিশকে জানায়নি।