ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

বরগুনায় সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ৫ মার্চ ২০২৪  
বরগুনায় সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সাংবাদিক তালুকদার মো. মাসউদকে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন।

বরগুনায় সাংবাদিক তালুকদার মো. মাসউদকে প্রেসক্লাবে আটকে রেখে নির্যাতনের ফলে মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার স্বজনরা ও এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে ২ ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বরগুনার সব পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক মাসউদকে প্রেসক্লাবে আটকে রেখে নির্মমভাবে নির্যাতন করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ৯ জন সাংবাদিকসহ ১৩ জন সন্ত্রাসী। এরা সাংবাদিকতাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে জমি দখলসহ চাঁদাবাজি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তালুকদার মাসউদকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে সবোর্চ্চ শাস্তির দাবি জানান স্বজনরা।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য মুশফিক আরিফের সাথে বরগুনা প্রেসক্লাবে গিয়ে ক্যারাম খেলা শুরু করেন তালুকদার মাসউদ। প্রেসক্লাবে ক্যারাম খেলতে দেখে এনটিভির বরগুনা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজ তালুকদার মাসউদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালি-গালাজ শুরু করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে সোহেল হাফিজসহ অন্য আসামিরা প্রেসক্লাবের গেট বন্ধ করে মাসউদের ওপর হামলা চালায়। এসময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আসামিরা গেট তালাবদ্ধ করে রাখে। প্রায় এক ঘণ্টা প্রেসক্লাবে আটক থাকার পর বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আলম প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার ১৩ দিন পর শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় গত সোমবার (৪ মার্চ) বরগুনা সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী সাজেদা তালুকদার।

নিহত সাংবাদিকের ছেলে তালুকদার তানহা মানববন্ধনে বলেন, আমার বাবাকে সোহেল হাফিজসহ তার লোকজন মেরে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।

নিহত সাংবাদিক তালুকদার মাসুদের মেয়ে তন্নি বলেন, ওরা আমার বাবাকে প্রেসক্লাবে তালা আটকে মারধর করেছে। তখন আমার বাবা ওদের কাছে পানি চাইলে ওরা পানি পর্যন্ত দেয়নি। ওদের মারধরের কারণে আমার বাবা মারা গেছে। পুলিশ যেন দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসে।

বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম মিজানুর রহমান বলেন, তালুকদার মাসুদের স্ত্রী সাজেদা তালুকদার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ইমরান/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়