চুয়াডাঙ্গায় সেতু ঝুঁকিপূর্ণ, সংস্কারের উদ্যোগ নেই
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
জিকে খালের উপর পানি সেতু
আলমডাঙ্গা পৌর শহরের পাশ ঘেঁষে প্রবাহিত জিকে খালের উপর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ৪-৫ বছর আগে সেতুর উপর ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। তবু সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দশক আগে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের কালিদাসপুরে জিকে খালের উপর সেতুটি নির্মিত হয়। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলা কুষ্টিয়া হয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে সুবিধা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে সেতুতে সংস্কার কাজ হয়নি। ফলে সেতুটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর ছাদ ও পিলার দুর্বল হয়ে গেছে। সেতুর নিচের অংশের প্লাস্টার খসে পড়ছে। কিন্তু সংস্কারের উদ্যোগ নেই।
সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুটির বেহাল দশা। মানুষ হেঁটে চলাচল করছে। ছোট ছোট ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল চলাচল করছে। ভারি যানবাহন উঠলে সেতুটি কেঁপে উঠছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ২০১৯ সালে সেতুর দুই প্রান্তে খুঁটিতে লাল ফ্লাগ টাঙিয়ে ভারি যানবাহনের চলাচলে সতর্ক করা হয়। সেটিও সময়ের ব্যবধানে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
আলমডাঙ্গা পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মজিবুল হক জানান, শহরে সড়কপথে যোগাযোগে সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেতু থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র। এ শহরে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ অঞ্চল থেকে প্রতিদিন শতাধিক সবজি ও পান বোঝাই ট্রাক এবং রাজধানী ঢাকাগামী যাত্রীবাহী পরিবহণ যাতায়াত করে। এ ছাড়া এই সেতু ব্যবহার করে কালিদাসপুর ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী জেলার ইবি থানাধীন পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষকে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরে আসতে হয়।
আলমডাঙ্গা বাস ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ কারণে ভারি যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে দুই কিলোমিটার ঘুরতে হয়। তিনি দ্রুত ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানান।
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, সেতুর জন্য একটি প্রকল্প পাইপলাইনে রয়েছে। প্রকল্পে বরাদ্দ পাস হলে সেতুর কাজ শুরু করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, আগে সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়। আবারও ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড টাঙানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খাইরুল/বকুল