ঢাকা     সোমবার   ০৬ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

ভোলার দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন মসজিদ

মলয় দে, ভোলা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৭, ২ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২০:৩৭, ২ এপ্রিল ২০২৪
ভোলার দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন মসজিদ

নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন মসজিদ

দ্বীপ জেলা ভোলার প্রাণকেন্দ্র উকিলপাড়ায় রয়েছে নয়নজুড়ানো স্থাপনা নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন মসজিদ। প্রায় দেড় একর জমির ওপর নির্মিত এই মসজিদটিতে ২৫০০ জন মুসুল্লি একত্রে নামাজ পড়তে পারেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের নামাজ আদায়ে রয়েছে আলাদা কক্ষ ও ওযুখানা। রমজানে প্রতিদিন এই মসজিদে সাধারণ মুসুল্লিদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ ইফতার করেন এখানে। এছাড়াও, রয়েছে নিজস্ব হেফজখানা। সেখানে বর্তমানে ১১ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন।

জানা গেছে, নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা নিজাম উদ্দিন আহম্মদ ও তার স্ত্রী হাসিনা নিজামের নামেই নামকরন করা হয় মসজিদটির। ২০১০ সালের ১ জুন মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর। প্রতি জুমার দিন মসজিদে উপচে পড়া ভিড় থাকে। রমজান মাসে তারাবি এবং দুই ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা এই মসজিদে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিনই এই মসজিদটি দেখতে ও নামাজ পড়তে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর সংখ্য মানুষ ভোলার উকিলপাড়ায় আসেন। মসজিদের কারুকাজ ও সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন আগতরা। 

মসজিদটি দেখতে আসা আতিকুর রহমান বলেন, এটি আমার দেখা চমৎকার একটি মসজিদ। অন্য মসজিদের চেয়ে সুন্দর এবং ভালো সুবিধা থাকার কারণে মুসুল্লিরা এখানে নামাজ পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। মসজিদটি সবার দৃষ্টি কাড়ে।

মসজিদটি নির্মাণকালে দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা শাহ আহলাদ হোসেন মিঠু বলেন, মসজিদটি তৈরিতে প্রায় ৭ বছর সময় লেগেছ। ২৪ হাজার স্কয়ার ফুটের একটি অত্যাধুনিক মসজিদ এটি। মসজিদে একটি খোদাইকৃত বড় গম্বুজ ও ৩টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। সামনের অংশে আল্লাহু লেখা দুটি পানির ফোয়ারা রয়েছে। রয়েছে সুপ্রশস্থ খোলা মাঠ। আন্ডার গ্রাউন্ডে রয়েছে সুবিশাল অযুখানা।

তিনি আরও বলেন, এই মসজিদটির দুটি মিনার রয়েছে। প্রত্যেকটি মিনারের উচ্চতা ১৩০ ফুট। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নামাজের স্থান। মসজিদের দুটি গেট রয়েছে। এর একটি পুরুষদের জন্য এবং অপরটি নারীদের জন্য করা হয়েছে। মসজিদটির সামনে রয়েছে ফুলসহ নানা ধরনের গাছ। ফলে মসজিদটির সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

মসজিদের নিজস্ব  হেফজখানায় এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা ১১জন। সেখানকার শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ও থাকা-খাওয়ার ব্যয় মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মো. নিজাম উদ্দিন বহন করছেন। 

নিজাম-হাসিনা মসজিদের ইমাম মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ভোলার অন্যান্য মসজিদ থেকে এই মসজিদ অনেক এগিয়ে। এখানে হাজারো মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করেন। নারীরাও এখানে নিয়মিত নামাজ পড়েন। রমজানের পুরো মাস মুসুল্লিদের জন্য মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মো. নিজাম উদ্দীন ইফতারের আয়োজন করেন।

ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে ফাতেমা খানম জামে মসজিদ নামে আরও একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ রয়েছে। সেটিও সবার নজর কাড়ে। ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের মায়ের নামে তৈরি করা হয়েছে ওই মসজিদটি। ভোলার স্থানীয়া মনে করেন, এই দুটি মসজিদ একসময় ভোলার ঐতিহ্য বহন করবে। 

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়