ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য 

মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৪, ৬ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২২:২৭, ৬ এপ্রিল ২০২৪
পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য 

স্বামীর সঙ্গে রুনা খাতুন

মাগুরার শালিখা উপজেলার ভাড়া বাসা থেকে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার গোপালগ্রামের প্রবাসী তাহের উদ্দীনের ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। 

নিহত রুনা খাতুন মাগুরা সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) সাইফুল ইসলামের স্ত্রী।

প্রতিবেশী মিজানুর বিশ্বাসসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘ভোরে সেহেরি খাওয়ার পর আমাকে বাঁচাও বলে চিৎকার শুনতে পাই। কিন্তু বাড়ির গেটে ও ঘরের দরজায় তালা দেওয়া থাকায় বাড়িতে কেউ ঢুকতে পারেনি। সকালে শুনতে পাই, দারোগার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেছে।’ 

এ সময় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশের দুই হাঁটু মেঝেতে লেগে ছিল। তখন পুলিশের সন্দেহ হয়। যার ফলে পুলিশ তার দুই ছেলে ফয়সাল ইসলাম রাতুল (২০), মোহাম্মদ আলী (১৫) এবং বড় ছেলের স্ত্রী হৃদরী খাতুন (১৮) কে থানায় নিয়ে যায়। 

নিহতের বোন শারমীন সুলতানা সীমার জানান, ২০০২ সালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের মৃত নায়েব আলী মৃধার ছেলে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তাদের বোন রুনার বিয়ে হয়। সাইফুল পুলিশের চাকরি করায় তাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জেলায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করতে হয়। বর্তমানে তারা শালিখা উপজেলার গোপালগ্রামে তাহের উদ্দীনের বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল। 

সুলতানা সীমার বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে আমার বাবা কাজী গোলাম মোস্তফা মারা যাওয়ার পর সাইফুল ও তার দুই ছেলে বোনের সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এর এক পর্যায়ে রুনা স্বামী সন্তানসহ পরিবার নিয়ে ভালো থাকার জন্য সব সম্পত্তি বিক্রি করে স্বামীর হাতে টাকা তুলে দেয়। তবে আমার দুই ভাগ্নে ও বউ মাদকে আসক্ত বলে আমরা কেউ তাদের বাসায় বেড়াতে আসি না।’  

সুলতানা সীমার দাবি করেন, ‘পারিবারিক কলহের জের ধরে মাদকাসক্ত দুই ছেলে ও পুত্রবধু আমার বোনকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা সকালে সংবাদ পেয়ে গোপালগঞ্জ থেকে এসে লাশ শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পাই।’ 

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, সাইফুল রাতে থানার ডিউটিতে ছিল। সকালে জানতে পারে তার স্ত্রী মারা গেছে।

শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার দুই ছেলে ও পুত্রবধূকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। 
 

শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়