ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

এমপি একরামুলের বহিষ্কার চায় জেলা আ.লীগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩২, ২৩ এপ্রিল ২০২৪  
এমপি একরামুলের বহিষ্কার চায় জেলা আ.লীগ

দলীয় প্রধানের নির্দেশ অমান্য করে নিজের ছেলেকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী করায় নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার ও তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিতের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে সুবর্ণচর উপজেলায় এনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে আমরা তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন: ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধের ঘোষণা এমপি একরামের

সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী বলেন, ‌নির্বাচন চলাকালীন একরামুল সাহেব নোয়াখালী পৌরসভার মেয়রের কক্ষে আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সামনে চরম অপমান করেন। এক পর্যায়ে তেড়ে আসেন এবং হুমকি দেন যে, ‘আমাকে দেখে নেবেন। আমি নাকি বহুত সুখে আছি, সেটাও তিনি আমাকে ভরে দেবেন।’ 

এই ধরনের অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। সেজন্য আমি চিকিৎসাজনিত কারণে কিছুদিন ঢাকায় আবস্থান নিতে বাধ্য হই। আমি মোবাইল ফোনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি, যেনো সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকাকে বিজয়ী করতে সক্ষম হই। আমি বিভিন্ন মিটিংয়ে মোবাইলে ভয়েস ম্যাসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করি।

তিনি আরো বলেন, একরামুল সাহেব আমার বিরুদ্ধে  তার ছেলে সাবাব চৌধুরীকে নিজের উপজেলা কবিরহাট থেকে আমার উপজেলা সুবর্ণচরবে এনে ভোটার করেছেন। আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী করেছেন। আমাকে অপমান ও জেলা আওয়ামী লীগকে অপমান করার জন্য তিনি এমনটি করেছেন। তিনি মনে করেছেন, দল তার বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নেবে না যেহেতু তিনি এমপি।

খায়রুল আনাম চৌধুরী বলেন, একরামুল চৌধুরী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সুবর্ণচরের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন, হামলা করছেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেককে গ্রেপ্তার করাচ্ছেন। আমাকে পাবলিক মিটিংয়ে অকথ্য ভাষায় বকাবকি করেছেন। এমনকি তার ছেলেকে ভোট না দিলে এলাকার উন্নয়ন বন্ধ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এক কথায় তিনি সুবর্ণচরের অসহায় নিরীহ জনপদের মানুষের ওপর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। আমরা এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক এবং নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল প্রমুখ।

এবিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। নির্বাচনে পরাজয় হবে এমন ধারণা থেকেই তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করছেন।

সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ