ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

সাঘাটায় চেয়ারম্যান হচ্ছেন টিটু, সরে যাওয়ার কারণ জানালেন ২ প্রার্থী

মাসুম লুমেন, গাইবান্ধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৯, ২৩ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২১:০৯, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
সাঘাটায় চেয়ারম্যান হচ্ছেন টিটু, সরে যাওয়ার কারণ জানালেন ২ প্রার্থী

অ্যাডভোকেট এস এম সামশীল আরেফিন টিটু

নির্বাচনের আগেই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম সামশীল আরেফিন টিটু। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার এই উপজেলা থেকে তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তাদের মধ্যে দুই জন গতকাল সোমবারে (২২ এপ্রিল) প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় সামশীল আরেফিন টিটুকে চেয়ারম্যান ঘোষণা এখন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) হাসান মেহেদী বিদ্যুৎ এবং সামসুল আজাদ শীতল এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সামশীল আরেফিন টিটুর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব। 

নির্বাচনের আগ মুহূর্তে মনোনয়ন প্রত্যাহারের কারণ নিয়ে কথা বলেছেন হাসান মেহেদী বিদ্যুৎ এবং সামসুল আজাদ শীতল। 

হাসান মেহেদী বিদ্যুৎ বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আমি আমার পক্ষের ৪০০-৫০০ নেতাকর্মীকে বাসায় ডেকেছিলাম। তারা বললেন, ভোট করে লাভ নেই, করলেও জিততে দেবে না।’ 

কারা জিততে দেবে না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি বঙ্গবন্ধুর একজন একনিষ্ঠ কর্মী। যিনি ভোট করছেন, তিনি বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তারই পক্ষ থেকে আমার ইউনিয়ন থেকে আরেকজন প্রার্থীকে চেয়ারম্যান পদে দাঁড় করিয়েছিল। আমি সরে যাওয়ার পর, তিনিও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এসব নানা কারণে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি।’

ভরতখালী ইউনিয়নের দুই বারের ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আজাদ শীতল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে বলেন, ‘আমি আর সামশীল আরেফিন টিটু ছোট থেকেই বন্ধুর মতো বড় হয়েছি। একসঙ্গে রাজনীতি শুরু করি। তিনি যখন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, আমি তখন সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। এভাবেই এখন পর্যন্ত একসঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। সামশীল আরেফিন টিটু গতবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটে চেয়ারম্যান হয়েই গিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেজাল্ট তার পক্ষে আসেনি।’

এতদিনের বন্ধু, তবুও তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চেয়েছিলেন এর কারণ কি? নাকি এটা ভোটের কৌশল ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে সামসুল আজাদ শীতল হেঁসে বলেন, ‘আমি বন্ধুর জন্য সেক্রিফাইস (ছাড় দিয়েছি) করেছি।’ 

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম সামশীল আরেফিন টিটুকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সমর্থন করছে। অপর দু’জন প্রার্থীর তুলনায় সামশীল আরেফিন টিটুর জনপ্রিয়তাও অনেক বেশি। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোট পেয়েও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেননি। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও কখনো জনপ্রতিনিধি হননি তিনি। 

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী সামশীল আরেফিন টিটু বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। দলের বাইরেও আমার সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে পেলেও, শেষ পর্যন্ত ফলাফল আমার পক্ষে যায়নি। এবার উপজেলার সব স্তরের মানুষ আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। হেরে যাওয়ার ভয়েই অন্য প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন। আমিও চেয়েছিলাম তারা ভোটে থাকুক।’

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়