ঢাকা     সোমবার   ০৬ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি, গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত 

পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৬, ২৪ এপ্রিল ২০২৪  
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি, গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত 

গরমে নাকাল প্রাণীকূলও

পঞ্চগড়ে অনাবৃষ্টির পড়েছে জনজীবনে। হিমালয়ের নিকটবর্তী এ জেলায় শীত মৌসুমে অধিক শীত পড়ে। আর এখন গ্রীষ্মের খরতাপ জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। এতে বেশি বিপাকে পড়ে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। 

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বুধবার বিকেল ৩টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বোচ্চ। তবে এ দিন সকালে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে সেটাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। আর ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ধরা মাঝারি তাপপ্রবাহ। সেই হিসেবে পঞ্চগড়ে এখন মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে।

প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি নেই জনজীবনে। হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণীকূলেও। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। অনেকে ছুটছে আখের রস, আর শরবতের দোকানে। পথচারী কমে যাওয়ায় রোজগার কমেছে ভ্যান, রিকশা ও ইজিবাইক চালকদের। 

তীব্র খরতাপ উপেক্ষা করে টমেটো ক্ষেতে কাজ করছেন দিনমুজুর আব্দুর রশিদ। সদর উপজেলার হাড়িভাসা এলাকার এই শ্রমিক বলেন, ‘গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। একটানা বেশি সময় কাজ করা যায় না। জিরিয়ে জিরিয়ে কাজ করছি। একটু পর পর ঠান্ডা পানি খাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই গরমে কাজে আসা উচিত না, তারপরও আসতে হয়। কারণ, এখন এই টমেটো দ্রুত উত্তোলন না করলে ক্ষেতেই নষ্ট হবে। কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ 

জেলা শহরে কথা হয় ভ্যান চালক সিদ্দিক আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গরমের কারণে যাত্রী কম। দুই একজন থাকলেও তারা ভ্যানে ওঠে না। ইজিবাইকে চড়ে। এই রোদে ভ্যান নিয়ে সড়কে থাকাও কঠিন। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, জেলায় অনাবৃষ্টির কারণে তাপপ্রবাহ বেশি। চলতি মাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের উত্তর-পূর্ব দিকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নাঈম/বকুল 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়