ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে মাগুরার আট নদ-নদী

মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪১, ৩০ মে ২০২৪   আপডেট: ১০:৪৭, ৩০ মে ২০২৪
পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে মাগুরার আট নদ-নদী

পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া নবগঙ্গার একটি অংশ

পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে মাগুরার নবগঙ্গা, কুমার, ফটকি, চিত্র, গড়াই, মধুমতি, হানু  ও বেগবতী। এসব নদ-নদী বছরের পর বছর ধরে জমা পলি অপসারণ না করায় এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। এতে পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটছে। অন্যদিকে জীব বৈচিত্র পড়ছে চরম হুমকিতে। 

জেলার এই ৮টি নদ-নদীই পানিশূন্য। এসব নদ-নদীর বুকে জেগে উঠা চরে এখন কৃষকেরা ধান, পাট, গম, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নদী পাড়ের জেলা মাগুরা।  জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট বড় ৮টি নদ-নদী। ৩০ বছর আগেও এসব নদীর বুকে চলাচল করতো মাল বোঝাই বড় বড় পাল তোলা নৌকা। পানি প্রবাহ না থাকা নদীর তলদেশে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীগুলো তার নব্যতা হারিয়েছে। এ সব নদী সমতল থেকে নদীর গভীরতা এখন স্থানভেদে মাত্র ৩ থেকে ৫ ফুট। সরকারিভাবে নদী খনন করলেও সেটা তেমন কাজে আসেনি।

ফটকি ও চিত্র নদী ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থেকে উৎপত্তি হয়ে মাগুরার শালিখা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পলির কারণে নদী দুটির উজানে প্রায় ১৮ কিলোমিটার নদী ভরাট হয়ে গেছে। অন্যান্য নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।

গড়াই নদীতেও দিন দিন পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় পলি পড়ে ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুম এলেই বেশ কিছু স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। তবে মধুমতি নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠেছে। শুধু গড়াই, মধুমতি নয়, হানু নদীর পানিপ্রবাহ না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি থাকে না। কুমার নদও পলি পড়ে দিনে দিনে ভরাট হয়েছে।

৬৪টি জেলায় ছোট বড় নদী খাল এবং জলাশয়ে খনন প্রকল্প যদি অব্যাহত‌ রাখা যায় তাহলেই এই হারিয়ে যাওয়া নদনদীগুলো প্রাণ ফিরে পেতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী সোরাওয়ার জাহান সুজন বলেন, মাগুরা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদীগুলো অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এ সকল নদ-নদী, খাল, জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প আতাওয়া প্রস্তাব প্রেরণ করেছি। যদি প্রকল্পগুলো পাস হয় এই নদীগুলো খনন করা সম্ভব হবে।

শাহীন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়