যশোর জেলা আ.লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা 

যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে মারধরের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) আদালতে মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে যশোর কোতয়ালি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনি।

মামলার আসামিরা হলেন- যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন এবং শাহীন। তিনি শহরের ঘোপ এলাকার বাসিন্দা।

আইনজীবীকে মারধরের ঘটনায় আজ সকালে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন যশোরের আইনজীবীরা।

এদিকে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহিদুল ইসলাম মিলন। 

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, গত ৯ জুন সন্ধ্যায় শহরের মুজিব সড়কের জেলা আইনজীবী সমিতির ২ নম্বর ভবনের সামনে ফুটপাতে শাহীনসহ ১৫/২০ জন আসেন। তারা ফুটপাতের কয়েকটি দোকান জোর করে সরানোর চেষ্টা চালান। অন্য দোকানিরা তাকে বাধা দেন। একপর্যায় সেখানে উপস্থিত হন পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হেলাল উদ্দীন। ফুটপাতের দোকানিরাও এসআই হেলাল-আইনজীবী মুকুলকে সেখানে ডেকে নেন। এসময় শাহীন তাদেরকে জানান, তিনি শহিদুল ইসলাম মিলনের লোক। একই সঙ্গে শাহীন ফুটপাতে ব্যবসার জন্য ঈদ সালামি দাবি করেন। তাকে সালামি না দিয়ে দোকান বসালে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়ে শাহীনসহ অন্যরা চলে যান। পরবর্তীতে এসআই হেলাল শাহীন ও দোকানিদের পুলিশ ফাঁড়িতে ডাকেন। ওইদিন রাত ৯টায় বাদী দোকানিদের পক্ষে ফাঁড়িতে যান। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম মিলন ও শাহীনসহ আরও কয়েকজন সেখানে আসেন। কথা বলার সময় শহিদুল ইসলাম মিলন অশ্লীল ভাষায় বকাবকি করতে শুরু করেন মুকুলকে। এক পর্যায়ে তিনি মুকুলকে কিল ঘুষি মারেন। পরে ফুটপাতের দোকানি ও পুলিশ কর্মকর্তারা এসে তাকে উদ্ধার করেন। 

এদিকে, আজ দুপুরে শহিদুল ইসলাম মিলন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি জানান, অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা।