ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

‘একদাম নিলে নেন, না নিলে না নেন’

সচিবালয় প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ১০ মার্চ ২০২২   আপডেট: ১০:১৬, ১০ মার্চ ২০২২
‘একদাম নিলে নেন, না নিলে না নেন’

বেশ কিছু দিন ধরে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ইচ্ছেমতো দামে সয়াবিন ও পাম অয়েল বিক্রি করছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালিয়েও ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। ব‌্যবসায়ীরা বলছেন- ‘যে দামে কিনেন, সেভাবেই বিক্রি করেন; একদাম: নিলে নেন, না নিলে না নেন।’

গতকাল বুধবার (৯ মার্চ) রাজধানীর কাপ্তান বাজার, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে খোলা সয়াবিন ও বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি করতে দেখা গেছে। চালসহ নিত্যপণ্যের পর ভোজ্যতেল বাড়তি দামে বিক্রি করায় টেনশনে পড়েছেন ভোক্তারা।

রাজধানীর কাপ্তান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মোস্তফা সরদার বলেন, দেশে ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আজ খোলা তেল ১৯০ টাকা কেজি এবং বোতলজাত ১৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় আমি খরচ কমাতে ৮ লিটারের পরিবর্তে ৬ লিটার কিনেছি।

কাপ্তান বাজারে পাইকারি ভোজ্যতেল বিক্রেতা মুজাহিদ জেনারেল স্টোরের প্রোপাইটার হাজী বেলাল হোসেন বলেন, আমরা মৌলভীবাজার থেকে ভোজ্যতেল কিনে বিক্রি করি। মৌলভীবাজার থেকে বলা হয়- ‘বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেশি, এর প্রভাবে বাংলাদেশে দাম বাড়ছে।’ কিন্তু এখন পর্যাপ্ত তেলের মজুত আছে। আমরা যেভাবে কিনি, সেভাবেই বিক্রি করি। ক্রেতাদের সাথে কথা না বাড়িয়ে বলি, ‘একদাম: নিলে নেন, না নিলে না নেন।’ যার প্রয়োজন কিনছে, যার প্রয়োজন নেই সে চলে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা গোলাম মাওলা বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় তেলের সরবরাহ কিছুটা কম। ফলে একধরনের অস্থিরতা কাজ করছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোজ্যতেল বিপণনকারী একটি কোম্পানির পরিচালক  বলেছেন, বিশ্ববাজারে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম বেড়েছে। তাই বিশ্ববাজারের দামের সঙ্গে মিলিয়ে দেশে যদি যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা না হয়, তাহলে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, দেশে চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণে সয়াবিন ও পাম অয়েল মজুত আছে। তাই সংকট হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেউ বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সয়াবিন, পাম অয়েল বিক্রি ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করাদের জরিমানা করা হচ্ছে।

এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৬৮ টাকা। আর বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম হবে ৭৯৫ টাকা। তারও আগে, বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৭৬০ টাকা।

অপরদিকে, খোলা সয়াবিনের লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১৪৩ টাকা করা হয়েছে। এর আগে, খোলা সয়াবিনের দাম ছিল ১৩৬ টাকা। প্রতি লিটার পাম তেলে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ১৩৩ টাকা করা হয়। তারও আগে পাম তেলের প্রতি লিটারের দাম ছিল ১১৮ টাকা।

আসাদ/এনএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়