ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সরব রিয়াজের নীরব পরাজয়ের কারণ

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১২, ৩১ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৮:০৬, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সরব রিয়াজের নীরব পরাজয়ের কারণ

চলচ্চিত্রের বেহাল দশায় হলবিমুখ দর্শক। দর্শকশূন্য সিনেমা হলগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ঠিক এমন সময় শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঝিমিয়ে পড়া চলচ্চিত্রাঙ্গনে একটু হলেও জোয়ার এনেছে। এই নির্বাচন ঘিরে মানুষের কৌতূহল সে কথারই সাক্ষ্য দেয়।

নির্বাচনে যে ক’জন প্রার্থী বিভিন্ন সময় আলোচিত বা সমালোচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে ‘প্রেমের তাজমহল’খ্যাত চিত্রনায়ক রিয়াজ অন্যতম। নিন্দুকের কথায় কান না দিয়ে পুরো নির্বাচনে সরব ছিলেন তিনি। বলা চলে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করেন নন্দিত এই নায়ক। 

কিন্তু তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেননি। সরব রিয়াজের নীরব পরাজয়ের কারণ কী? এ নিয়ে চলচ্চিত্রের ‘আঁতুর ঘর’খ্যাত এফডিসির চায়ের আড্ডায় চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। ক্লিন ইমেজের এই নায়ক কেনই-বা এতো ভোটের ব্যবধানে হেরে যাবেন? এমন প্রশ্ন ভক্তদের মনে। 

এবারের নির্বাচনের শুরু থেকেই নিজ প্যানেলের জন্য সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন রিয়াজ। প্রচারণার এক পর্যায়ে এফডিসিতে একজন বৃদ্ধ শিল্পীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন তিনি। এ নিয়ে ট্রলের শিকার হতে হয় তাকে। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে খুনের হুমকিও পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রিয়াজ। 

রিয়াজ বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আমি বুথের ভেতরে ছিলাম। আমি যদি ভেতরে না থাকতাম আমার প্যানেল বা প্রেসিডেন্ট কাউকেই আনতে পারতাম না। প্যানেল রক্ষা করতে গিয়ে নিজে হেরে গেলেও আমার কোনো দুঃখ নেই।’

‘আমার কাছে প্যানেল গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি মনে করি এর মাধ্যমে আমিই জয়ী হয়েছি এবং আমি আনন্দিত। কারণ এটা ব্যক্তিগত কোনো চিন্তা নয়।’ রিয়াজ আরো উল্লেখ করেন, ‘আমি যদি নিজের জন্য ১০ পার্সেন্টও কাজ করতাম, আমাকে ঠেকানোর ক্ষমতা কারো ছিল না।’

রিয়াজ নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই বুথের ভেতরে দায়িত্ব পালন করেছেন। যে কারণে ভোটারদের কাছে সেদিন তিনি ভোট চাইতে পারেননি। অনেকেই রিয়াজের পরাজয়ের পেছনে এই কারণকে দায়ী করছেন। চলচিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হয়তো এসব পয়েন্ট শতভাগ ঠিক না হলেও অনেকাংশে সঠিক। তারপরও কিছু কথা থেকে যায়। যেমন রিয়াজ এবার সহ-সভাপতি পদে দাঁড়িয়েছেন কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে। তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মনোয়ার হোসের ডিপজল ও মার্শাল আর্ট হিরো মাসুম পারভেজ রুবেল। দুজন হ্যাভিওয়েট প্রার্থীর বিপরীতে লড়তে হয়েছে তাকে। ডিপজল প্রযোজক হিসেবেও সফল। তার প্রযোজিত সিনেমার মাধ্যমে অনেক শিল্পী তৈরি হয়েছে। এছাড়া চলচ্চিত্রের মানুষের বিপদে তিনি পাশে দাঁড়ান। এমন উদাহরণ কম নয়। এছাড়া এর আগে তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। 

এদিকে নায়ক রুবেলের হাতেও তৈরি হয়েছে অনেক শিল্পী। এই নায়কও এর আগে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে তাদের হারানো খুব সহজ নয় বলেই মনে করছেন চলচ্চিত্র বোদ্ধারা। অনেকে আবার মনে করেন গণমাধ্যমে প্রতিপক্ষকে নিয়ে তির্যক আক্রমণ করাও রিয়াজের জন্য কাল হয়েছে। 

কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়ে রিয়াজ পেয়েছেন ১৫৬ ভোট। একই পদে হেরেছেন ডি এ তায়েবও। তিনি পেয়েছেন ১১২ ভোট। এই পদে জিতেছেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের মনোয়ার হোসেন ডিপজল এবং মাসুম পারভেজ রুবেল। দুজন ভোট পেয়েছেন যথাক্রমে ২১৯ এবং ১৯১। 

আরো পড়ুন: জায়েদ-নিপুণের মধুর সম্পর্ক তিক্ত হলো যে কারণে 

/তারা/ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়