ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

বিপাশা বিদেশ থেকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছে: আবুল হায়াত

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৭:৪৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
বিপাশা বিদেশ থেকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছে: আবুল হায়াত

বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াত। নাট্যকার, পরিচালক হিসেবেও সফল তিনি। মঞ্চনাটকের মাধ্যমে তার অভিনয়ে হাতেখড়ি। তারপর ৫০ বছরের বেশি সময় পার করেছেন তিনি। অসংখ্য টেলিভিশন নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনে কাজ করে দর্শকের মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়িয়েছেন এই শিল্পী। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদক। নন্দিত এই শিল্পীর আজ (৭ সেপ্টেম্বর) ৭৮তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে রাইজিংবিডির সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন আবুল হায়াত।  

রাইজিংবিডি: জন্মদিন কীভাবে উদযাপন করছেন?
আবুল হায়াত:
সাধারণত আগের রাতেই জন্মদিন উদযাপন হয়ে যায়। এবারো তার ব্যত্যয় ঘটেনি। একই দিনে আমার নাতনি (নাতাশার কন্যা তৃষা) ও আমার জন্মদিন। নাতাশা দুটো কেক নিয়ে বাসায় এসেছিল। আমরা দুজনে মিলে হইচই করে কেক কেটেছি, খেয়েছি। ওরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এটি আমাদের প্রধান উদযাপন। তা ছাড়া বন্ধু-বান্ধব, সাংবাদিক, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষিরা ফোন করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। আর আজকে চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে যাব। ওরা প্রতি বছরই ডাকে। সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটাব। আর রাতেরবেলায় পরিবারের সবাই একত্রিত হবো।

রাইজিংবিডি: আপনার কন্যা বিপাশা হায়াত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন…
আবুল হায়াত:
বিপাশা বিদেশ থেকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আমরা ওকে খুব মিস করব।  

রাইজিংবিডি: আপনি বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার পার করছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আপনার কোনো অপ্রাপ্তি রয়েছে কী?
আবুল হায়াত:
আমি আমার বাবার দ্বারা খুব প্রভাবিত। বাবা বলতেন, জীবনের চাওয়াগুলো ছোট ছোট রাখবে; তাহলে তোমার পাওয়াগুলো বড় বড় হবে। এতে করে তুমি যা চাইবে তারচেয়ে বেশি পাবে। বেশি বেশি চাওয়া থাকলে বেশি বেশি হতাশ হবে। আমি বাবার কথা শুনেছি। যে কারণে কোনো ক্ষেত্রে আমার জীবনে অপ্রাপ্তি নেই। কোনো দিনই আমি বেশি বেশি চাইনি। যা চেয়েছি আল্লাহ তারচেয়ে বেশি দিয়েছেন। এটি আমার জীবনের আদর্শ।

রাইজিংবিডি: আপনার কাছে জীবনের অর্থ কী?
আবুল হায়াত:
একটা সময় ছিল যখন কোনো লক্ষ্য ছিল না। শুধু কাজ করেছি, ঘুরে বেড়িয়েছি— এরকম ছিল। ওই সময়ে আমার এক শুভাকাঙ্ক্ষি বলেছিলেন, ‘বেঁচে থাকতে হলে আনন্দ করতে হবে।’ আমি প্রশ্ন করলাম, আনন্দ করে মানুষ বেঁচে থাকে? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আনন্দ মানে কাজ করা। কাজ করলে আনন্দ পাবে; আনন্দ পেলে বেঁচে থাকবে।’ তার মানে কাজই প্রধান। আমি সারাটি জীবন শুধু কাজই করে গেছি। আমার ফুর্তি বলতেও ওইটুকুই। আমি যখন চাকরি করেছি, তখন পেশাগত জায়গায় শতভাগ সৎ ছিলাম। পাশাপাশি নাটক-সিনেমায় কাজ করেছি। একসময় চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরো সময়টা অভিনয়ে দিই। এখানেও আমি আমার শতভাগ দিয়েছি, কেউ কখনো বলতে পারবে না আমি কাজে ফাঁকি দিয়েছি। এটিই আমার জীবনের আনন্দ!

রাইজিংবিডি: এখনো এমন কোনো চাওয়া আছে, যা পূরণের স্বপ্ন দেখেন?
আবুল হায়াত:
সেরকম কিছু খুঁজে পাই না। তবে কিছু কিছু চরিত্র আছে, যা করতে পারলে ভালো লাগতো। যেমন—শেক্সপিয়রের কিং লিয়র। আমার অনেক দিন ধরেই মনে হচ্ছে এই চরিত্রটি করতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু সেই সুযোগ এখনো পাইনি।

রাইজিংবিডি: তাহলে কী আবারো মঞ্চে ফেরার ইচ্ছে আছে?
আবুল হায়াত:
আমি মঞ্চ থেকে উঠে এসেছি, মঞ্চ আমার প্রাণ। মঞ্চে ফেরার ইচ্ছা হয়। কিন্তু এজন্য শারীরিকভাবে অনেক শক্তি প্রয়োজন; ওটা না হলে সম্ভব নয়। আমার লেখা নতুন একটি নাটক মঞ্চে আসছে। এ নাটকে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম; কিন্তু পারিনি। তারপরও মঞ্চে ফেরার স্বপ্ন দেখি।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়