ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

‘মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষে ঢাকায় আলোচনা সভা

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ১৪ মে ২০২৪  
‘মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষে ঢাকায় আলোচনা সভা

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ঢাকায় ইন্সটিটিউট অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (আইইডি) উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুর অবস্থিত ফোক সেন্টারে এ সভার আয়োজন করা হয়। এবার মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ধরিত্রীর জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মেদ খান। 

বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইইডির সমন্বয়কারী তারিক হোসেন মিঠুল।

সভাপতির বক্তব্যে নুমান আহমেদ খান বলেন, আমরা মানবাধিকারের কথা বলি। কিন্তু সত্যিই কি তা অনুভব করি? ব্যক্তিজীবনে কি আমরা মানবাধিকার চর্চা করি? গৃহকর্মীদের মানবাধিকার কি আমরা দেখি? আমরা আজকাল পেশাদারিত্বের কথা বলি, দায়িত্ববোধের কথা বলি না। পরিবার, ব্যক্তি, রাষ্ট্র কল্পনাতীত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। কোভিড আমাদের হোম অফিস শিখিয়েছে। গণমাধ্যমও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই সাংবাদিকরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ বলেন, এই প্রযুক্তিনির্ভর যুগে তথ্য দিয়ে তথ্যের মোকাবিলা করতে হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সংবাদকর্মীরা মিলেমিশে কাজ করলে সমাজ উপকৃত হবে। তরুণ সাংবাদিকদের উচিত গঠনমূলক সাংবাদিকতায় আগ্রহী হওয়া। গণমাধ্যমে পরিবেশগত সংকট ও উত্তরণের উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করা প্রয়োজন। সংবাদমাধ্যমই পারে জনগণকে জাগিয়ে তুলতে, প্রশাসনকে দায়িত্বশীল করে তুলতে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, রাষ্ট্র ও কর্মক্ষেত্র উভয় জায়গাতেই সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জের মুখে। বিভিন্ন বৈশ্বিক সূচকে দেশের সাংবাদিকতা খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। সাংবাদিকদের উচিত খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া।

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, গণমাধ্যমের স্বরূপ ও কর্মপদ্ধতি বোঝা প্রয়োজন। একসময় সাংবাদিকতা এদেশে চাকরি হিসেবে বিবেচিত হতো না। এখন হচ্ছে। সেই পেশাগত দায়িত্বের জায়গা থেকে কোনো শিল্প কারখানায় ইটিপি আছে কি-না, পরিবেশ ছাড়পত্র আছে কি-না সেই প্রশ্ন সাংবাদিকদেরই করতে হবে। কারণ, প্রভাবশালী মহলই পরিবেশ দূষণে বড় ভূমিকা রাখছে।

১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুসারে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীরা দিবসটি পালন করে আসছেন। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় দিবসটিতে।

/এনএইচ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়