ঢাকা     রোববার   ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৩ ১৪৩১

পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি: ৫ সংগঠনের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ

রাইজিংবিডি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১০, ২৪ জুন ২০২৪   আপডেট: ১০:১১, ২৪ জুন ২০২৪
পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি: ৫ সংগঠনের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির প্রতিবাদ আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সংগঠন উদ্বেগ জানিয়েছে।

সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ
সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ। অ্যাসোসিয়েশনটির বক্তব্য স্বাধীন গণমাধ্যম ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চার প্রতি অশোভন ও অযৌক্তিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করে পরিষদ।

রোববার (২৩ জুন) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সই করা এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

আরো পড়ুন:

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের সাবেক ও বর্তমান উচ্চ এবং নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যদের অস্বাভাবিক সম্পদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে দেশের সব গণমাধ্যমের সম্পাদক বরাবর চিঠি দিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, যা পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আকারে প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠির শেষাংশে অনুরোধ জানানো হয়েছে, জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশের ভালো কাজের মূল্যায়ন প্রতিবেদন আকারে গণমাধ্যম প্রচার করে থাকে। আবার সরকারের দায়িত্বশীল পদে কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন, যা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়-এমন তথ্য অনুসন্ধান করে পেশাদারির সঙ্গে তা প্রকাশের কাজটিও করে গণমাধ্যম। এসব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্পাদক পরিষদ মনে করে, সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ঢালাও প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে পারস্পরিক দোষারোপ চর্চার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিবাদের মাধ্যমে দেওয়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য স্বাধীন গণমাধ্যম ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চার প্রতি অশোভন, অযৌক্তিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের বহিঃপ্রকাশ।

সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন, তাদের দায়িত্ব পালন নিয়ে সংশয় থাকলে যথাযথ নিয়ম ও বিধি অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হতে পারে, তা না করে প্রতিবাদের মাধ্যমে পারস্পরিক দোষারোপ, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধের নামে গণমাধ্যমকে হুমকি দেওয়া হয়েছে; যা স্বাধীন গণমাধ্যম ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চার পরিপন্থী।

বিবৃতিতে ভবিষ্যতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকর্মীদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে সম্পাদক পরিষদ।

কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি করলে, তা ব্যক্তিগত, বাহিনীর বিষয় নয়: বিএফইউজে-ডিইউজে
সম্প্রতি সাংবাদিকতা বিষয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের পেশাজীবী সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

শনিবার (২২ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ এবং ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন।

বিবৃতিতে তারা বলেছেন, সম্প্রতি দেশের কিছু ক্ষমতাধর বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তার বিপুল ও অস্বাভাবিক সম্পদের বিবরণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা প্রাপ্ত তথ্য ও দলিল যাচাই-বাছাই করে প্রমাণযোগ্য বিষয়গুলোই প্রকাশ করছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু, এসব সংবাদ প্রকাশের পর কোনো কোনো নেতা এবং কোনো কোনো সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন, তা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি বলে আমরা মনে করি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকারি বিবৃতি, ভাষ্য, ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বা সংবাদ সম্মেলনে পাওয়া সব তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য থেকেই সাংবাদিকরা সংবাদ তৈরি করেন। কিন্তু, সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে, প্রভাবশালীরা যে তথ্য গোপন রাখতে চান, তা অনুসন্ধান করে বের করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে জনগণকে বিস্তারিত জানানো। আশার কথা, ইতোমধ্যে প্রভাবশালী মহল সম্পর্কে কিছু তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এতে কারো উত্তেজিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। এ ক্ষেত্রে যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন, তাদের দায়িত্ব এসব বিষয় প্রমাণ করা এবং যাদের নামে প্রকাশিত হয়েছে, তাদের কাজ হচ্ছে-প্রকাশিত তথ্যগুলো যে সঠিক নয়, তা প্রমাণ করা। এ ক্ষেত্রে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের দায়িত্ব প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তদন্ত করা এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। এসব বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা কোনো শোভন কাজ নয়। তারপরও কেউ সংক্ষুদ্ধ হলে প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন। কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে, এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, কোনো বাহিনীর বিষয় নয়।

‘বিএফইউজে ও ডিইউজে স্পষ্টভাবে জানাতে চায়, শত হুমকি ও ধমকের মুখেও প্রামাণিক তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন। সংশিষ্ট সকল মহল স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়, এমন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকবেন, বিএফইউজে ও ডিইউজে তা প্রত্যাশা করে। কারণ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার সংবিধানেই স্বীকৃত।’

দুর্নীতিকে প্রশ্রয়-সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা: টিআইবি
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিকে স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি সংবিধান পরিপন্থি হুমকি উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বিষয়টিকে সাম্প্রতিক সময়ে ফাঁস হওয়া সাবেক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর একাংশের দুর্নীতির সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

রোববার (২৩ জুন) দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি এই কথা জানায়।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া সাবেক পুলিশ কর্তাদের নিয়ে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিকে উটপাখির আচরণসম উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে দেওয়া বিবৃতিটিই পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠনের এমন বিবৃতি যে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের সুরক্ষা দেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত প্রক্রিয়া-এমন মনে হওয়া মোটেও অমূলক নয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সংগঠনের এ বিবৃতি একদিকে যেমন সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি সরাসরি হুমকি ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টা, অন্যদিকে তেমনি নাগরিকের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিতের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মূলত বাস্তবতাকে অস্বীকার করে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন যে ‘‘উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে’’ রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে-এমন মন্তব্য করা মোটেই অত্যুক্তি হবে না।’

গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতির খবরে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে-পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এমন বক্তব্যকে বালখিল্যতার সামিল উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্তাদের দুর্নীতির যে বিশাল, অস্বাভাবিক ও অনেকাংশে উৎকট খতিয়ান আমরা গণমাধ্যমের কল্যাণে জানতে পারছি, সেসব সংবাদকে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার খোঁড়া যুক্তিতে থামানোর চেষ্টা করা পুলিশের মতো একটি দায়িত্বশীল সংস্থার ভাবমূর্তি সুরক্ষায় নিজেদের সক্ষমতা ও সৎসাহস নিয়ে প্রশ্ন জন্ম দেয়। এমন স্বার্থের দ্বন্দ্বে দুষ্ট যুক্তির বদলে বিপুল দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ জানা যাচ্ছে, তার জন্য বিব্রতবোধ করে স্বপ্রণোদিত হয়ে পুলিশের তরফ থেকে নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত তদন্তে সহায়তার ঘোষণা দিলে তা বাহিনীর দুর্নীতি প্রতিরোধের সদিচ্ছার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতো। তা একদিকে যেমন পুলিশের ভাবমূর্তির জন্য সহায়ক হতো, অন্যদিকে পুলিশের প্রত্যাশিত পেশাগত মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতো।’

দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে: ডিআরইউ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন যে ভাষায় বিবৃতি দিয়েছে, তাতে ব্যক্তিগত দুর্নীতি উৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া এ ধরনের বিবৃতি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি।

রোববার (২৩ জুন) ডিআরইউর সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকরা সব সময় দায়িত্বশীল এবং তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করে থাকেন। সব তথ্যই গণমাধ্যমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ পরিবেশন করা। সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে তথ্য-উপাত্ত বের করে থাকেন এবং পেশাদারির সঙ্গে তা প্রকাশ করেন। দেশের কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তার অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হওয়ার সংবাদ, কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে বলে তারা মনে করেন না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। ডিআরইউর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানেই স্বীকৃত। তাই বাধাবিপত্তির মুখেও সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এজন্য স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়, এমন বক্তব্য প্রদান থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় ডিআরইউ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের স্বার্থে সাংবাদিক-পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করে আসছে। আগামী দিনেও একই সঙ্গে কাজ করবেন সাংবাদিক ও পুলিশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে কিছু তথ্যভিত্তিক খবর বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রকাশিত হয়েছে। এক্ষেত্রে যাদের নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক কি না, তা প্রমাণ করা। কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদমাধ্যমকে দোষারোপ করা শোভন কাজ নয়। বরং এর মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত দুর্নীতি উৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা যৌক্তিক নয়।

/এসবি/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়