ঢাকা     বুধবার   ০১ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

ভরসা রিকশা-ভ্যান-মোটরসাইকেল

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৩, ২৮ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভরসা রিকশা-ভ্যান-মোটরসাইকেল

ছবি : শাহীন ভূইয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে রোববার সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। ধর্মঘটের প্রথম দিন সকাল থেকেই কোনো ধরনের গণপরিবহন না চলায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

রাজধানীতে কোনো ধরনের বাস চলছে না। এমনকি সিএনজি থেকেও যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা। রাজপথে এখন ভরসা রিকশা, ভ্যান আর মোটরসাইকেল। ভ্যান আর রিকশায়  গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। যেকোনো গন্তব্যে যেতে ২০ টাকা হারে ভ্যান উঠছেন দশ জন করে যাত্রী। তবে ট্রাফিক পুলিশের কারণে রিকশায় দুজনের বেশি যাত্রী উঠাচ্ছেন না ড্রাইভাররা। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে দেখা যাচ্ছে, অ্যাপসভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি। অ্যাপসের মাধ্যমে যাওয়া এসব মোটরসাইকেল রীতিমত হাঁক ডেকে যাত্রী তুলছেন। তবে পাঠাও সার্ভিসে এখনো বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

হঠাৎ হওয়া এই ধর্মঘট সম্পর্কে জানতেন না অনেকেই। তাই কোনো প্রস্তুতি ছাড়া বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করে অনেককে পায়ে হেঁটেই অনেকে গন্তব্যস্থলে রওনা হতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, সাতরাস্তা, মহাখালী, মিরপুর, গাবতলী, ধানমণ্ডি, উত্তরা, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া রাস্তায় কোনো গণপরিবহন নেই।

এর আগে শনিবার শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সংসদ সদস্য ওয়াজিউদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক উছমান আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যুগোপযোগী আধুনিক ও উন্নত সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের দাবি করে আসছে।

সেই দাবিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সরকার আইন পাস করলেও বেশকিছু ধারা শ্রমিক স্বার্থের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। যে কারণে পরিবহন শ্রমিকদের চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

 

 

এছাড়া আইনে সড়ক দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য না করে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। আমরা জানি, দুর্ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটে না; কিন্তু অপরাধ পরিকল্পিতভাবেই ঘটে।

পরিবহন শ্রমিকদের ঘোষিত আট দফ দাবি হলো-সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা জামিনযোগ্য করতে হবে। শ্রমিকদের অর্থদণ্ড পাঁচ লাখ টাকা করা যাবে না। সড়ক দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সে শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করতে হবে। ওয়েস্কেলে (ট্রাক ওজন স্কেল) জরিমানা কমানোসহ শাস্তি বাতিল করতে হবে। সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের সময় শ্রমিকদের নিয়োগপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত স্বাক্ষর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। সব জেলায় শ্রমিকদের ব্যাপক হারে প্রশিক্ষণ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করতে হবে এবং লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ অক্টোবর ২০১৮/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়