তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির আহ্বান রিজভীর
প্রায় ১৮ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগমন ঘিরে সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দের ঢল নেমেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটির সদস্য সচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে এ উপলক্ষে ঘোষিত সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলমুখী ৩০০ ফিট এলাকায় সার্বিক প্রস্তুতি ও কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লাখ লাখ মানুষ প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখার আশায় ঢাকায় আসছেন। এই স্বতঃস্ফূর্ত জনসমাগম প্রমাণ করে—তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন জনগণের আবেগ ও প্রত্যাশার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।”
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, অতীতের সরকার এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিকবার দাবি করেছেন, তার আন্দোলনের ফসল হিসেবে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময় মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়। কারাগার ও হাসপাতালে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বাধ্য হন তিনি। এরপর একের পর এক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার মাধ্যমে তার দেশে ফেরা দীর্ঘদিন বাধাগ্রস্ত করা হয়।
বিএনপি নেতারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলীয়ভাবেও নেতাকর্মীরা তার নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন। দেশে পৌঁছে প্রথমেই তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন। এ সময় নির্ধারিত স্থানে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার কথাও জানানো হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “মানুষের উপস্থিতি হবে সামুদ্রিক ঢলের মতো, তবে সবাইকে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ থাকতে হবে।” কোনো বিশৃঙ্খলা বা উস্কানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করা হয়।
ঢাকা/আলী/ইভা