ঢাকা     শনিবার   ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বিসিবির ‘হস্তক্ষেপেই’ চলবে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা, পাপনের ঘোষণা

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ৩১ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ২১:১১, ৩১ মার্চ ২০২৪
বিসিবির ‘হস্তক্ষেপেই’ চলবে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা, পাপনের ঘোষণা

‘আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আচরণবিধি নিশ্চিত করিবে’-রিজিওনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রে আচরণ ও শৃঙ্খলা নিয়ে এভাবেই লেখা আছে।

রোববার (৩১ মার্চ) বিসিবির এই মেয়াদের দ্বিতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে এই বিষয়টি আরও কড়াভাবেই বলেছেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার কথায় স্পষ্ট, বিসিবির কলকাঠিতেই চলবে দেশের আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাগুলো।

আরো পড়ুন:

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা কেন্দ্র (বিসিবির) হস্তক্ষেপ মুক্ত হবে না। আপনারা ভুল বুঝছেন, একদম ঠিক আমি বলে দিচ্ছি। এটা হবে না। যতদিন পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট না হব যে তারা স্বাধীনভাবে চালাতে পারবে, ততদিন না।’

একমাত্র বরিশাল ছাড়া বাকি ছয় বিভাগের আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার কার্যক্রম অ্যাডহক কমিটি দিয়ে চলছে। বরিশালের পরিচালক আলমগীর আলো অসুস্থা থাকায় সেটি এখনো শুরু করা যায়নি। এবারের এজিএমে অ্যাডহক কমিটিকে নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। আলাদা আলাদা ক্রিকেট সংস্থা হলেও বিসিবিই দেবে ‘ফাইনাল’ কল।

কিন্তু কেন? যারা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার নেতৃত্বে আসবে তাদের সক্ষমতার অভাব? এ সময় বিসিবি সভাপতি জানান, তাদের আগে পারফর্ম করে প্রমাণ করতে হবে। প্রমাণের জন্য ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যার জন্য বরাদ্ধ রাখা হয়েছে ২০ লাখ টাকা।

‘প্রথম কাজ ওদের দিয়েছি একটা টুর্নামেন্ট চালু করতে। টেস্ট কেস হিসেবে, দেখার জন্য। এ টুর্নামেন্ট চালাবে তারা যে কয়টা কমিটি করা হয়েছে। ২০ লক্ষ টাকা তাদের দেওয়া হবে। প্রথমে টেস্ট কেস হিসেবে দেওয়া হবে, কে কীভাবে পারফর্ম করছে।’

বিসিবি সভাপতির ভাষ্য অনুযায়ী, আঞ্চলিক সংস্থা যারা চালাবেন তাদের সক্ষমতা দেখা হবে। বরাদ্ধকৃত অর্থের সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে কী না সেটাও নজরে রাখা হবে তীক্ষ্ণভাবে।

‘আগে (সক্ষমতা) দেখতে হবে আমাদের। না দেখে দিচ্ছিনা। ব্লাইন্ডলি দিয়ে দেব না। আপনি যদি এখনি ঢালাও ভাবে বলে দেন তারা স্বাধীন, যা খুশি তা করতে পারবে, তা না। আমরা আগে বুঝে নেই, দেখে নেই, তারপর ঠিক করবো।’

বিসিবির সবশেষ এজিএম হয়েছিল ২০২২ সালে। এর আগের এজিএমে (২০২১) আসে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার ঘোষণা। যার দৃশ্যমান কাজের ঘোষণা আসতে লাগে প্রায় তিন বছর। অ্যাডহক কমিটির নেতৃত্বে নির্বাচন আর টুর্নামেন্ট কবে মাঠে গড়ায় সেটিই দেখার।

এজিএম শুরু হয় দুপুর ২টায়। ইফাতারের ঠিক পূর্বমুহূর্তে বিসিবি সভাপতি সংবাদ মাধ্যমে ব্রিফ করেন। গত দুই অর্থ বছরের হিসাব-নিকাশ ও এবারের বাজেট অনুমোদিত হয় এজিএমে। সর্বোপরি অর্থনৈতিক মন্দার কারণে খরচ কমাতেও বলা হয়েছে।

ঢাকা/রিয়াদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়