ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

আশরাফুল-তাসামুলের সেঞ্চুরি, শাহরিয়ারের ১ রানের আক্ষেপ

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৭, ৪ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আশরাফুল-তাসামুলের সেঞ্চুরি, শাহরিয়ারের ১ রানের আক্ষেপ

মোহাম্মদ আশরাফুলের হাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর (ক্রিয়েটিভ এন্ড পাবলিকেশন) উদয় হাকিম (বাঁয়ে)। ছবি : জনি সোম

ক্রীড়া প্রতিবেদক : পরপর দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। সেই মোহাম্মদ আশরাফুল আজ রানের খাতা তো খুললেনই, করলেন সেঞ্চুরিই!

সেঞ্চুরি পেয়েছেন আশরাফুলের কলাবাগান সতীর্থ তাসামুল হকও। এই দুজনের তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আনন্দের দিনে শাহরিয়ার নাফীস মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন, আউট হয়েছেন ৯৯ রানে। হেরেছে তার দলও।

ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজ শাহরিয়ারের অগ্রণী ব্যাংককে ৫ উইকেটে হারিয়েছে আশরাফুল-তাসামুলদের কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। সপ্তম ম্যাচে এটি কলাবাগানের দ্বিতীয় জয়। সমান ম্যাচে অগ্রণীর পঞ্চম হার।



সাভারের বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা পেয়েছিল অগ্রণী ব্যাংক। উদ্বোধনী জুটিতে ২৫.২ ওভারে ১২৮ রান যোগ করেন শাহরিয়ার ও আজমীর আহমেদ। আজমীর ৬৬ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ করে ফিরলে ভাঙে এ জুটি।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরই বদলে যায় অগ্রণীর ব্যাটিং। উইকেটে থিতু হতে পারেননি পরের ব্যাটসম্যানদের কেউই। শাহরিয়ার তবুও একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এগোচ্ছিলেন ব্যক্তিগত মাইলফলকের দিকেও। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে থাকতে স্টাম্পড হয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১২৫ বলে ১৪ চার ও এক ছক্কায় সাজান ৯৯ রানের ইনিংসটি।

চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে শাহরিয়ার ফেরার পর অগ্রণীর সংগ্রহও বেশি বড় হয়নি। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ২৫২ রান। দুই ওপেনারের পর সর্বোচ্চ রান হলো ২০! সেটা আসে জাহিদ জাভেদের ব্যাট থেকে।



৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কলাবাগানের সেরা বোলার আকবর-উর-রেহমান। মুক্তার আলী ও মাহমুদুল হাসান নেন ২টি করে উইকেট। নাহিদ হাসান ও আশরাফুলের ঝুলিতে জমা পড়ে একটি করে উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় কলাবাগানের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। দলীয় ২১ রানেই আল-আমিন হোসেনের বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জসিমউদ্দিন। এরপরই দলের হাল ধরেন তাসামুল ও আশরাফুল। দ্বিতীয় উইকেটে ১৮৮ রানের বড় জুটি গড়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন এই দুজন।

তাসামুলের বিদায়ে ভাঙে জুটি। তার আগেই লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ২৬ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান। শফিউলের বলে আউট হওয়ার আগে ১১৫ বলে ১২ চারে ১০৬ রান করেন তাসামুল।



এরপর দ্রুতই আরো তিন উইকেট হারালেও ষষ্ঠ উইকেটে তাইবুর রহমানের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১৫ রানের জুটিতে কলাবাগানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আশরাফুল। তার আগে জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সেঞ্চুরিটাও করেছেন দারুণভাবে। ৯১ থেকে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার রাজা আলী দারকে টানা দুই চার হাঁকিয়ে পৌঁছে যান ৯৯-এ। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করেন এবারের ঢাকা লিগে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সপ্তম সেঞ্চুরি।

তাইবুরের দুটি ছক্কায় কলাবাগান ম্যাচ জিতেছে ৮ বল বাকি থাকতেই। ৫ বলে ১৫ রান করেন তাইবুর। আর আশরাফুল ১৩৬ বলে ১০ চারে খেলেন ১০২ রানের ইনিংস। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনিই। তার হাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে দেন টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর (ক্রিয়েটিভ এন্ড পাবলিকেশন) উদয় হাকিম।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মার্চ ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়