ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘সংস্কৃতিচর্চায় জবির সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে’

আশরাফুল ইসলাম আকাশ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৯, ২৮ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘সংস্কৃতিচর্চায় জবির সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে’

জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কৃতিচর্চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তথা জগন্নাথ কলেজের সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। মাঝে শূন্যতা থাকলেও তা আবার নতুন উদ্যোমে শুরু হয়েছে। দেশের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে শিল্প-সংস্কৃতিচর্চার গুরুত্ব অনেক বেশি। শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে হবে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে।’

সম্মিলিত কণ্ঠে ‘আনন্দ ধ্বনি জাগাও গগনে’ গানটি দিয়ে এ উৎসবের সূচনা হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুলের তোড়া দেওয়া হয় ও উত্তরীয় পরানো হয়। পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরীকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আগে ঢাকা বলতে বর্তমান পুরনো ঢাকাকেই বোঝানো হতো। পুরনো ঢাকাকে কেন্দ্র করেই প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, ঐহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল। বিভিন্ন কারণে পুরনো ঢাকা সাংস্কৃতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে পুরনো ঢাকার সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটতে শুরু করেছে। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে, যা গর্ব করার মতো। সংগীত বিভাগ আন্তর্জাতিক উৎসব আয়োজন করেছে, যা আমাদের বিরাট প্রাপ্তি।’

সংগীত উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অণিমা রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সংগীত পরিবেশন করেন- শাহিন সামাদ, শামা রহমান, সামিনা চৌধুরী ও সফি মণ্ডল। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ১১ শিল্পী এবং চীনের পাঁচ শিল্পী গান পরিবেশন করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা সমবেত গান, নজরুল গীতি, দেশাত্ববোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, চাকমা ভাষায় আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের আট শিক্ষার্থী বিশেষ নাচ করেন।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন বুধবার থাকবে- অতিথিদের বক্তব্য, উচ্চাঙ্গ সংগীত, অষ্টকল্যাণ রাগ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনা। এদিন সুবীর নন্দী, সাদি মহম্মদ, লাইসা আহমদ লিসা, চন্দনা মজুমদার ও ভারতের ড. সব্যসাচী সারখেইল গান গাইবেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মার্চ ২০১৭/আশরাফুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়