ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘ঢাবিতে শেখ হাসিনা রিসার্চ ইনস্টিটিউট চাই’

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ঢাবিতে শেখ হাসিনা রিসার্চ ইনস্টিটিউট চাই’

সংসদ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা রিসার্চ ইনস্টিটিউট’প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় সংসদনেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশনের দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা বারবার বলেছি। এই নবম সংসদেও খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেতার চেয়ারে বসে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছেন। আর এই জঙ্গিবাদের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল হাওয়া ভবন থেকে। শুধু তাই নয়, জঙ্গিবাদ এবং গ্রেনেড হামলায় ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য হামলা করা হয়েছিল। তখন আমরা বলেছিলাম, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তাদের দ্বারা দেশের কোনো উন্নয়ন হতে পারে না।

কিন্তু আজকে শুধু বিএনপি জাতীয়ভাবে নয়; আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, তারা একটি সন্ত্রাসী সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল।

ছাত্ররাজনীতি করার সময়কার একটি শ্লোগান তুলে ধরে তিনি বলেন,  আমরা যখন ছাত্ররাজনীতি করেছি, তখন আমরা বলতাম, দেশের মানুষ না খেয়ে মরে, খালেদা জিয়া মেকআপ মারে। কিন্তু এখন দেশের মানুষ পেটভরে খায় আর মেকআপ মারে। আর আজকে খালেদা জিয়া ওই অপরাধের কারণে ধুঁকে ধুঁকে রাজনীতিকভাবে মৃত্যুবরণ করছেন। তার রাজনীতির করার আর কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষ এ ধরনের ব্যর্থ ও সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িক নেতৃত্বকে কখনো আর গ্রহণ করবে না।

ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন,  প্রধানমন্ত্রী এখন বিশ্বের কোথাও গেলে সবাই জানতে চায়, কীভাবে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হচ্ছে? কোথাও গেলে তাকে নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি আজকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। আজকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ও দেশীয়ভাবে গবষেণা হচ্ছে।

স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হোক। কারণ যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আসবেন এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে জানতে চাইবেন, তখন তারা কোথায় যাবেন? কিন্তু একটি ইনস্টিটিউট থাকলে তারা জানতে পারবেন এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে গবেষণা করতে পারবেন। যেহেতু এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।

এ কারণে বলতে চাই, আমরা বিদেশিদের কাছে খাটো হতে চাই না। বিদেশিরা যখন দেশে এসে দেখবে, শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোনো গবেষণা কেন্দ্র ও ইনস্টিটিউট নেই, তখন আমরা লজ্জায় পড়তে পারি। তাই আমি দাবি জানাচ্ছি, ঢাবির সাবেক ছাত্রী হিসেবে এবং স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় নয় মাস যাকে (শেখ হাসিনা) বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তিনি আজ বাংলাদেশের অহংকারে পরিণত হয়েছেন।

পদ্মা সেতু ছিল আমাদের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। সেই যাত্রার পথে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করা হয়েছিল। এই সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সেদিন বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে এটা তোমাদের প্রমাণ করতে হবে, না হলে দেশের মানুষের কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও সততার কারণে আন্তর্জাতিক আদালতও প্রমাণ করতে পারেনি পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে আবারো বীরের জাতি হিসেবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি বলে উল্লেখ করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/নৃপেন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়