‘কম্বলটা পায়া একনা আরামে নিন্দ পাইরব্যার পামো’
গাইবান্ধা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
‘বাবা রে! হামার খ্যাতা নাই, বিছনা নাই। হামার কষ্টের শ্যাষও নাই। যে জার (শীত) পচ্ছে, খুব কষ্ট করি থাকি। আইজ কম্বলটা পায়া হামরা একনা আরামে নিন্দ পাইরব্যার পামো।’
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) কনকনে শীতের সকালে আত-তানজিম পাঠাগারের দেওয়া কম্বল পেয়ে এভাবেই আবেগে আপ্লুত হয়ে আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা শতবর্ষী বৃদ্ধা আম্বিয়া বেওয়া।
এই স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনটি গত কয়েকদিন ধরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা, বেলকা, দহবন্দ ও তারাপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার দুস্থ অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করছে। এসব কম্বল পেয়ে খুশি অসহায় শীতার্ত এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষ।
কম্বল পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে আম্বিয়া বেওয়ার মতো অসহায় জামিলা বেওয়া বলেন, ‘এই জারত কম্বলখ্যান পায়া খুব উপকার হইল বাবা। কয় দিন থাকি জারত হাত-পা হিয়াল হয়া আইসে। যামরা হামাক কম্বল দিছে, আল্লাহ তামাক যুগ যুগ ধরি বাঁচে রাখুক।’
আত-তানযীম পাঠাগারের সভাপতি নাঈমুল ইসলাম নাঈম বলেন, ‘ঠাণ্ডা বাতাসের দাপট আর মাঝে মাঝে অসময়ের বৃষ্টি মিলে শীত জেঁকে ধরেছে সবাইকে। হিম হিম ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় নাকাল জনজীবন। শীতের এই তীব্রতা বেশি কাবু করে নিম্ন আয়ের মানুষদের। শীতার্ত অসহায় ও দুস্থ মানুষের উষ্ণতা দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই তাদের পাশে আত-তানযীম পাঠাগার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করছি। এ যাবত দুই শতাধিক মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছি। পুরো শীতকাল জুড়েই চলবে আমাদের শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম ইনশাআল্লাহ।’
সুদীপ্ত/টিপু