ঢাকা-৪ আসনে লাঙ্গল মার্কা মানে নৌকা মার্কা
নিয়াজ || রাইজিংবিডি.কম
লাঙ্গল মার্কা ও নৌকা মার্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা, ৪ জানুয়ারি : রাজধানীর শ্যামপুর কদমতলি থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৪ আসন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার জয় নিশ্চিত করার জন্য একাট্টা হয়ে কাজ করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার জয় নিশ্চিত করার জন্য লাঙ্গল মার্কাকে নৌকা মার্কা মনে করে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
তবে বাবলার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত ড. আওলাদ হোসেন সতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ তার পক্ষে প্রচারণায় মাঠে রয়েছে। একই সঙ্গে জামায়াত শিবিরেব স্থানীয় নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা আওলাদের পক্ষে কাজ করছে। তবে বাবলার লাঙ্গলের দাপটের কাছে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছে আওলাদের হাতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার র্নিদেশে গত ১৪ ডিসেম্বর থেকেই স্থানীয় এমপি সানজিদা খানম ছাড়াও শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সাইজুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন সারোয়ার, ৪৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি নাসির মিয়া , সাধারণ সম্পাদক নুরু মিয়া , ৫৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি নুর হোসেন, ৫৪ নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো.বাবুল, ৫২ নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মারুফ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন স্বপনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা মাঠে নামে।
বৃহস্পতিবার শ্যামপুরে জুরাইন রেল গেইট চত্তরে বাবলার সমর্থনে এক নির্বাচনি জনসভা করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম ।
সমাবেশে আওয়ামী লীগ সমঝোতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। এ জন্য ঢাকা- ৪ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাই এ আসনে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আর লাঙ্গল মার্কায় হলো শেখ হাসিনার মার্কা। যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালো বাসেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মেনে আওয়ামী লীগ করেন আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করেন, তাদের উচিত ৫ তারিখের নির্বাচনে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে আবু হোসেন বাবলাকে বিজয়ী করা।
এই সময় তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, আওলাদ হোসেনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী যদি তার পক্ষে নির্বাচনি প্রচার কাজে অংশ নেয়, তাহলে তাদেরও আওয়ামী লীগে স্থান হবে না। এর পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বাবলার পক্ষে গোপানে মাঠে নেমেছে।
এ বিষয়ে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, দলীয়ভাবে আমি জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগ আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়ে আমার পক্ষে মাঠে নেমে কাজ করছে। আমি আগে এই এলাকার দুই বার এমপি ছিলাম । তখন আমি বুড়িগঙ্গা সেতু ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধসহ বড় বড় অনেক কাজ করেছি । তাই আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি নয়, এই এলাকার দলমত নির্বিশেষে সবাই আমার পক্ষে মাঠে নেমেছে। আশা করছি বিপুল ভোটের ব্যাবধানে আমি জয়ী হয়ে এলাকার মানুষের সেবা করতে পারবো।
রাইজিংবিডি / নিয়াজ / শামসুল
রাইজিংবিডি.কম