ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ এখন সময়ের দাবি

জয়নাল আবেদীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩২, ৯ এপ্রিল ২০২৩   আপডেট: ২১:৩৩, ৯ এপ্রিল ২০২৩
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ এখন সময়ের দাবি

কংক্রিটের বা পিচের রাস্তা নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর থেকে শুরু করে ১২ বছর পার করলেও রাস্তা হয়নি পিচ। ১২ বছর ধরেই ইটের রাস্তা বা ইটের সোলিং দিয়েই চলাচল।

একটু বৃষ্টি হলেই ভঙ্গুর অবস্থার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া ইটের রাস্তায় স্যাঁতসেঁতে বিরাজ করে যা চলাচলে বিঘ্নিত ঘটায়। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা পা পিছলে পড়ে যান। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, ১২ বছর হয়ে গেল অথচ ইটের রাস্তা পরিবর্তন হলো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যতম পিচের রাস্তা বা কংক্রিটের রাস্তা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কয়েক বছর পরেই পিচের রাস্তা নির্মাণ করে অথচ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এখনো ইটের রাস্তায় আছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, প্রতিষ্ঠা থেকেই সেখানে পিচের রাস্তা। অথচ দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পিচের রাস্তা নেই, যা দুঃখজনক। প্রায় একই সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ হয়েছে, অথচ বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ইটের রাস্তা।

বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, জ্ঞান আহরণের জায়গা। বলতে পারেন, পিচের রাস্তা দিয়ে কী হবে! আসলেই পিচের রাস্তা দিয়ে কিছুই হবে না। তবে সৌন্দর্য, পরিচ্ছন্নতা ও যাতায়াতের পথ নিরবিচ্ছিন্ন হওয়াটা দরকার। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি পিচের রাস্তা বা কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করতে পারে, আমরা কেন দাবি উঠাতে পারব না! আমরা কেন নির্মাণ করতে পারব না। ক্যাম্পাসের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা থেকেও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে পিচের রাস্তা দরকার।

পিচের রাস্তা নির্মাণে যদি ভূমির কোনো জটিলতা থাকে, তাহলে সেই জটিলতা সমাধান করে পিচের রাস্তা নির্মাণ করা প্রয়োজন। এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। কুয়াকাটায় ভ্রমণ করতে এসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেমে ঘুরে দেখে না, এমন সংখ্যা খুবই কম। তাদের মুখ থেকেও শোনা যায়, তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ইটের রাস্তা? উত্তরটা ভিন্নভাবে ঘুরিয়ে দিলেও আসল সত্য হলো, আমাদের পিচের রাস্তা নেই। গ্রাম এলাকায়ও অনেক ইটের রাস্তা এখন পিচের রাস্তায় রূপান্তরিত হয়েছে।

হ্যাঁ, একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। তাই বলে মাত্র ৫০ একরের বুকে ১২ বছরেও ইটের রাস্তা নির্মাণ হবে না? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হয়তো এটা নিয়ে ভাবছেন কিন্তু ভাবনাটা দ্রুত করে পিচের বা কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করলে শিক্ষার্থীরাও খুশি হবে।সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রায়ই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করতেও দেখা যায়।

পিচের রাস্তা নির্মাণে যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকে, বা মাটির কারণে যদি নির্মাণ করা না যায়, সেটিরও সমাধান করে পিচ বা কংক্রিটের রাস্তা হওয়া দরকার। একটু বৃষ্টি হলেই পানিও জমে থাকে। নেই ড্রেনের ব্যবস্থা। তাই রাস্তা উঁচু করে ড্রেনের ব্যবস্থাসহ পিচের রাস্তা নির্মাণ করা উচিত। এটির জন্যে যা যা প্রক্রিয়া দরকার তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে হাতে নিতে হবে।

হ্যাঁ জানি, সব সংকট একদিন দুর হবে। তবে সেটা কবে? ধীরে ধীরেও সংকট দূর করা তো সম্ভব। একটা কথা বলতেই হয়, কতজন এলো-গেলো, কেউ কথা রাখেনি। শুধু প্রতিশ্রুতি না, প্রতিশ্রুতি পূরণ করা দরকার। সবার মন জয় করা সম্ভব না, তবে অধিকাংশের মন জয় করাটা দরকার। যেগুলো প্রায় শিক্ষার্থীর একই কথা, সেগুলো অন্তত দূরীভূত করা দরকার বলে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মনে করি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রে অবদান অনেক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো একটু পরিবর্তন হওয়া দরকার। তাহলে উচ্চ মনশীলতা ও বেশ ভালো লাগার জায়গা থেকে নিজ ক্যাম্পাসকে আরো উচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে বলে মনে হয়।

লেখক: ক্যাম্পাস সাংবাদিক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়