‘রাজনীতিতে উজ্বল নক্ষত্র মোহাম্মদ নাসিম’
প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম (ফাইল ফটো)
‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে উজ্বল নক্ষত্রের নাম মোহাম্মদ নাসিম। বলিষ্ঠ নেতৃত্বের নাসিম ছিলেন সাহসী। তিনি নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তবু ভীত হননি। মোহাম্মদ নাসিম বিশ্বস্ত সিপাহসালার হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন। তিনি আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করেছেন। কর্মজীবনের বিশালতা তার রাজনৈতিক জীবনকে বর্ণময় করে রেখেছে।’
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে জাতীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মোহাম্মদ নাসিম জনবান্ধব সফল রাজনীতিক’ শীর্ষক স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজক করে ‘৯৫ ফাউন্ডেশন, কাজিপুর’।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘মানুষের অধিকার আদায়ে মোহাম্মদ নাসিমের উচ্চ কণ্ঠস্বর ছিল অতুলনীয়। তিনি আন্দোলনে সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। মোহাম্মদ নাসিমের গুণাবলী সমসাময়িককালে কারও মধ্যে খুঁজে পাই না।’
কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে ১ হাজার সন্ত্রাসীর আত্মসমর্পণের স্মৃতিচারণ করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘কুষ্টিয়া অঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে অবদান রেখেছেন নাসিম ভাই। তার নেতৃত্বে আমরা ১ হাজার সন্ত্রাসীকে আত্মসমর্পণ করিয়েছিলাম। তিনি কুষ্টিয়া অঞ্চলে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।’
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিম শত নিষেধ সত্বেও করোনাকালে মানুষের পাশে ছুটে গিয়েছিলেন। সিরাজগঞ্জবাসী তাদের নেতা ও ভাইকে এখনো অনুভব করে।’
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পক্ষে লড়াকু সৈনিক।’
সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, ‘সিরাজগঞ্জের রাজনীতির কথা যদি বলি, মোহাম্মদ নাসিমের প্রয়াণের পরে আমরা বিভিন্নভাবে দ্বিধাবিভক্ত। আজকে আমরা অভিভাবকশূন্য।’
স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা হেনরী। সভাপতিত্ব করেন ‘৯৫ ফাউন্ডেশন, কাজিপুর’ এর সভাপতি প্রকৌশলী আবু রায়হান।
পারভেজ/রফিক