ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

যৌথ অভিযান: বান্দরবানের ৩ উপজেলার ভোট স্থগিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৪:৫১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
যৌথ অভিযান: বান্দরবানের ৩ উপজেলার ভোট স্থগিত

বান্দরবান। ফাইল ছবি

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ৩টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে এই ঘোষণা দেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

জাহাংগীর আলম বলেন, বান্দরবানের থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান। সে কারণে এই ৩টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, র‍্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব।

চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা নির্বাচনের পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ছিলো সভার মূল বিষয়।

এ সময় ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবারের উপজেলা নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গত ২ এপ্রিল রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম

এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এর পরদিন থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।

৪ এপ্রিল রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র‍্যাব। এর পরপরই থানচি থানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলি চলে।

স্থানীয়রা বলছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে। এ সময় কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তারা প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই ওইদিন মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়। সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানের মধ্যে সোমবার (২২ এপ্রিল) কেএনএফের এক ‘সদস্যের’ নিহতের খবর জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর। 

/হাসান/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়