ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ: অবশেষে গ্রেপ্তার দেখানো হলো এএসআই রায়হানকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫২, ২৮ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ২২:২২, ২৮ অক্টোবর ২০২০
রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ: অবশেষে গ্রেপ্তার দেখানো হলো এএসআই রায়হানকে

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আটকের চার দিন পর বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাত সোয়া ৯টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই রায়হানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ ব‌্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এদিকে, ওই গণধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার বিকেলে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জবানবন্দি দেয় তারা। এর আগে একই আদালতে ধর্ষিতার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের শনাক্ত করে আদালতে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে ওই স্কুলছাত্রী।

স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাট সদরের পূর্ব মাজাপাড়া এলাকার কড়ি মাহমুদের ছেলে বাবুল হোসেন (৩৮) এবং পূর্ব থানা পাড়ার মৃত কাচু মিয়ার ছেলে আবুল কালাম আজাদকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

পিবিআই ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাকনাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে। গত শুক্রবার ওই ছাত্রীকে সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন রায়হানুল। পরে রোববার ভাড়াটিয়া মেঘলা ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় আরও দুজন তাকে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মেঘলাকে আটক করে পুলিশ। ওই রাতে সুরভিকেও আটক করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদকে রংপুর মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর মুখোমুখি করা হয়। তখন ওই ছাত্রী তাদেরকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করে।

গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দুজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হারাগাছ থানায় মামলা করেন। সেই রাতেই অসুস্থ ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিক‌্যাল কলেজ হাসাপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করায় পুলিশ। সোমবার মামলাটি হারাগাছ থানা থেকে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।

পিবিআই’র পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন জানিয়েছেন, মেয়ের জবানবন্দি ও অন্যান্য আসামির স্বীকারোক্তির কপি দেখার পর রায়হানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

নজরুল/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়