ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

রায় ঘোষণার পর আদালতে বাদীর ওপর হামলা

মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৮:৫৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
রায় ঘোষণার পর আদালতে বাদীর ওপর হামলা

মাগুরায় ২০০৫ সালের একটি হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। 

তবে রায় ঘোষণার পর বিচার কক্ষেই মামলার বাদীর ওপর হামলা চালিয়েছে আসামি পক্ষের লোকজন। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের ইদ্রিস আলী, আলতু লস্কর ও কাসেম লস্কর। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি অর্থ লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের মাহাবুবুর রহমানের ছেলে রাজু আহম্মেদ। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

ওই ঘটনায় নিহতের চাচা হাফিজুর রহমান বিশ্বাস পাঁচ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর পর মামলার বাদি হন নিহতের বাবা মাহাবুবুর রহমান। ২০০৬ সালে ওই মামলায় পুলিশ চার জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মসিয়ার রহমান জানান, পুলিশ যে চার জনের নামে অভিযোগপত্র দিয়েছিল- তাদের মধ্যে হিরু লস্কর নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাকি তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দুজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, ইদ্রিস আলী নামে এক আসামি পলাতক রয়েছেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী জানান, দুপুরে মামলার রায় ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আসামি পক্ষের পরিবারের কয়েকজন সদস্য। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে মামলার বাদি মাহাবুবুর রহমানের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশের সহায়তায় কোনো হতাহতের ঘটনা ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

মামলার বাদি ও নিহত রাজু আহম্মেদের বাবা মাহাবুবুর রহমান (৬৫) বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে হলেও ছেলের হত্যার একটা বিচার হয়েছে। কিন্তু আদালত কক্ষেই আসামি পক্ষের লোকজন আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। আমিও আতঙ্কে আছি।’

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহজাহান সিরাজ বলেন, ‘রায় ঘোষণা উপলক্ষে পুলিশ সতর্ক ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে কয়েকজন নারী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে বাদিকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’

শাহীন/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়