‘বীরাঙ্গনার’ স্বীকৃতি-সম্মানী পেলেন হাজেরা বেগম
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল || রাইজিংবিডি.কম
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ‘বীরাঙ্গনার’ স্বীকৃতি পেলেন বরিশালের হাজেরা বেগম। পেলেন সম্মানী ভাতাও। তাই আনন্দে কেদে ফেলেন তিনি। বরিশাল সিটি এলাকার একমাত্র নারী হিসেবে তিনি এই স্বীকৃতি পেয়েছেন।
আজ সোমবার (২৮ জুন) রাতে রাইজিংবিডিকে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, মাত্র ১৮ বছর বয়সে পাক সেনাদের হাতে নির্যাতিত হন হাজেরা বেগম। তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের দাসেরহাট গ্রামের দিনমজুর মৃত কামিন উদ্দিন চৌকিদারের মেয়ে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য বরিশালের উদ্দেশে রওয়ানা হন। পথে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরে পাকবাহিনীর ক্যাম্পে ধরে নিয়ে হাজেরা বেগমকে নির্যাতন করা হয়।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অসামান্য ত্যাগ ও কীর্তিগাথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। হাজেরা বেগমের মতো মহিয়সী নারীদের পাশে রাষ্ট্র সবসময় থাকবে। জাতি তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণে রাখবে।
রোববার (২৭ জুন) বিকেলে অনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে হাজেরা বেগমের হাতে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতার ৮২ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। স্বীকৃতি ও ভাতার টাকা পেয়ে হাজেরা বেগম আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
হাজেরা বেগম বলেন, ৫ বছর আগে বরিশাল মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমে তিনি বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি পাওয়ার আবেদন করেন। পরে তার আবেদন যাছাই-বাছাই শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্প্রতি তাকে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে (নম্বর ৩৮১)। একই সঙ্গে ২০২০-২১ অর্থ বছরের জুলাই থেকে হাজেরা বেগমের অনুকূলে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বরাদ্দ দিয়ে তা ছাড় করা হয়েছে।
তিন ছেলে ও এক মেয়ের জননী হাজেরা বেগম বরিশাল নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের পুরানপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. জালাল হোসেনের স্ত্রী।
জে. খান স্বপন/বকুল
আরো পড়ুন