ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বর্ণিল আয়োজনে শেরপুরে পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত

তারিকুল ইসলাম, শেরপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২  
বর্ণিল আয়োজনে শেরপুরে পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত

ছবি: রাইজিংবিডি

বাংলার ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা বসেছিলো শেরপুরে। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুর পৌর এলাকার নবীনগর মহল্লার স্থানীয় সাওয়াল পীরের মাজার সংলগ্ন মাঠে বসেছিলো এ মেলা।

স্থানীয় নবীনগর এলাকাবাসী প্রায় শত শত বছর ধরে এ মেলার আয়োজন করে আসছে। মেলায় বিভিন্ন পিঠা, মিষ্টি, সাজ, মুখরোচক খাবারসহ বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন মজাদার খাবারের পসড়া বসে।

এছাড়া শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মাটির তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র, মেয়েদের প্রসাধনী ও চুড়ি-মালার দোকানের পসড়াও সাজিয়ে বসে দোকানীরা। বেচা বিক্রিও চলে বেশ। মেলায় গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় জমান।

এদিকে, মেলার আশাপশে স্থানীয় গ্রামবাসীর ঘরে ঘরে চলে পিঠা-পায়েশ উৎসব। এ উৎবকে ঘিরে প্রতি বাড়িতেই দুর-দুরান্তের স্বজনরা ছুটে আসেন পিঠা খেতে এবং মেলা দেখতে। একসময় বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে পূর্ব পুরুষদের রেওয়াজ অনুযায়ী গ্রামের মানুষ ভোরে উঠে হলুদ ও সর্ষে বাটা দিয়ে গোসল করতেন এবং বাড়ির মেয়েরা ব্যস্ত থাকেন পিঠা-পায়েস তৈরিতে। দিনব্যাপী চলতো অতিথি আপ্যায়ন এবং বিকেলে ছুটে যায় গ্রামের মেলার মাঠে। তবে এখন হলুদ সর্ষের রেওয়াজ আর না থাকলেও অনেক বাড়িতে স্বজনদের আগমন ও পিঠা উৎসবের রেওয়াজ  রয়েছে। জেলার বাইরে অবস্থানরত নারী-পুরুষের অনেকেই এ মেলা উপলক্ষে শেরপুর চলে আসেন।

মেলার আয়োজক নজরুল ইসলাম বলেন, মেলায় উপচেপড়া ভিড় ছিলো। মূলত ৩০ পৌষ অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তির মেলা হলেও এবার মেলার স্থানে কৃষকরা তাদের বোরো আবাদ করার জন্য মাঠ তৈরি প্রস্তুতির জন্য মেলার তারিখ কয়েকদিন আগে নির্ধারণ করা হয়।

মেলায় প্রতি বছর অন্যতম আকর্ষণ ঘোর দৌড়ের পাশাপাশি গাঙ্গি খেলা ও সাইকেল রেস হলেও এবার র‌্যাফেল ড্র ও মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা হয়েছে। দিন দিন এ মেলার আকর্ষণ ও লোক সমাগমও বাড়ছে।

পৌর মেয়র ও পৌষ মেলার সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, বাংলার সংস্কৃতি ধরে রাখতে আমরা এই আয়োজন করেছি। সামনের মৌসুমে আরও জাঁকজমকপূর্ণভাবে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা একটা দিনের জন্যে হলেও আমাদের ঐতিহ্য রেওয়াজ করি। এটাই আমাদের তৃপ্তির জায়গা।

এবার শেরপুর জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে আসে ১১ জন ঘোড় সোয়ার। অপরদিকে গাঙ্গি খেলায় ২০ জন খেলোয়া খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন শেরপুর পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া লিটন।

/তারিকুল/সাইফ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়