নীলফামারীতে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস

গত চার দিন ধরে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জবুথবু নীলফামারীর মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিন কাটছে গরিব শীতার্তদের। 

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জানান, কুয়াশা ও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। রানওয়েতে ফ্লাইট ওঠানামার জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটার। সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত দৃষ্টিসীমা এর কম হওয়ায় উড়োজাহাজ উঠানামা ব্যাহত হচ্ছে।  

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব ঘোষ বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কম থাকার কারণে সকালের দিকে বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উঠানামা ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে সকাল থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে সূচি অনুযায়ী ঢাকা থেকে সৈয়দপুরগামী ফ্লাইটগুলো চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এদিকে ঘন কুয়াশা হলেও সকালের এসব ফ্লাইট বাতিলও করা হচ্ছে না। দুপুরের পর ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে শীতবস্ত্রের অভাবে আছে গরিব মানুষ। রেললাইনের পাশে পুরাতন কাপড়ের লন্ডা মার্কেটেই এখন তাদের একমাত্র ভরসা। ডোমার বাজারের রেললাইনে ধারে পুরাতন কাপড়ের লন্ডা মার্কেটে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। 

সবুজ পাড়া এলাকার আইয়ুব আলী বলেন, আমরা গরিব মানুষ। গরম কাপড় নাই। শীতে খুব কষ্টে আছি। তাই কমদামে এখানে পুরাতন গরম কাপড় কিনতে এসেছি। কিন্তু এখানেও দাম বেশি। কেউ কোন কম্বল সহায়তা করেনি এখনো।

খরকুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে থাকা কলেজ ছাত্র লিখন ইসলাম, মিশাদ খান ও আরিফ ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন প্রচণ্ড শীত। তাই আমরা খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছি। 

নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোঘ জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ৪০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্তদের জন্য নতুন করে আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও অনেকে ব্যাক্তিগতভাবে কম্বল বিতরণ করছে।