মিডিয়ায় পণ্যের দাম বাড়ার প্রচার হয়, কমলে হয় না: ভোক্তার ডিজি
রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বেগুনের কেজি ১০০ টাকা ছিল, সেটি মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে। বর্তমানে ওই খাদ্যপণ্যটির দাম কমে রংপুরে ৩০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ৮০ টাকা প্রচার হলেও বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। সেটিও মিডিয়ায় প্রচার হয়নি। মিডিয়ায় দ্রব্যমূল্যের উচ্চ দাম প্রচার হলেও পণ্যের দাম কমার বিষয়টি প্রচার হয় না। যার কারণে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগটা গ্রহণ করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচারক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে রংপুর নগরীর সিটি বাজার মনিটরিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে উত্তরাঞ্চলে দ্রব্যমূল্যের দাম কেন বাড়ছে সেই বিষয়ে মনিটরিংয়ে আমরা এসেছি। আমরা বাজারে আসলে দাম কমে, চলে গেলে আবার দাম বাড়ে এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য বাজার মনিটরিং করছি। অন্যান্য জেলায় এই মনিটরিং করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম কমছে। ৮০০ টাকার তরমুজ আজকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা থেকে ৫৯৫ টাকায় এবং ১০০ টাকার বেগুন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিয়মিত মনিটরিংয়ের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। যার ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে, না হলে পাগলা ঘোড়ার মতো দাম বাড়তো।
ভোক্তার ডিজি বলেন, প্রতিটি জেলায় ভেজাল, নকল প্রতিরোধে কাজ করছি। রংপুরের বাজারে ভোজ্যতেল অস্বাস্থ্যকর ড্রামে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া, ড্রামে রাখার কারণে কোনটা সোয়াবিন তেল আর কোনটা পাম ওয়েল সেটা বোঝা মুশকিল। এই সব বিষয় নিয়ে কাজ করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা সমন্বয় করে কাজ করি সবসময়।
সিটি বাজার মনিটরিংয়ের সময় বিএসটিআইয়ে’র নকল লোগো ব্যবহারের দায়ে ১০ হাজার এবং ভোক্তা অধিকার আইনে ১ হাজারসহ মোট দুইজন ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন প্রমুখ।
পরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেলের গুণগতমান নিশ্চিত করণে ডিজিটাল মনিটরিং ও খোলা বাজারজাত বন্ধকরণে সচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে একটি কর্মশালায় যোগ দেন ভোক্তা ও বিএসটিআই এর মহাপরিচালকরা। মানসম্মত ভোজ্যতেল প্রাপ্তিতে উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন প্রশাসনের কর্মকর্তসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
আমিরুল/মাসুদ
আরো পড়ুন