ঢাকা     রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

রাজশাহীতে যুবককে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, ৪ পুলিশ প্রত্যাহার

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২০, ৬ মে ২০২৪   আপডেট: ১৬:২৮, ৬ মে ২০২৪
রাজশাহীতে যুবককে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, ৪ পুলিশ প্রত্যাহার

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক তরুণকে তুলে নিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) রাতে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে তাদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

প্রত্যাহার করা চার পুলিশ সদস্য হলেন- প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন। 

এর আগে, গত শনিবার রাতে উপজেলার গোগ্রাম বাজার থেকে সোহান নামের ওই যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সোহান ক্রিকেট খেলা নিয়ে জুয়া পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ আছে।

সোহানের অভিযোগ, রাত ৮টার দিকে তিনি নিজের দোকান বন্ধ করে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। সে সময় দুটি মোটরসাইকেলে চার জন এসে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এরপর নাম জিজ্ঞাসা করেন। নাম ঠিকানা বলার পর সোহানকে জোর করে মোটরসাইকেল তুলে নেওয়া হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর সোহানের হাতে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ সময় তারা বলেন, ‘তোর বাপকে ফোন দিয়ে টাকা আনতে বল, নইলে মাদক মামলায় চালান দিয়ে দিব।’ টাকা না দিলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বসন্তপুর-খেতুরধামের রাস্তার ফাঁকা জায়গায় নামিয়ে দিয়ে যায়। সেখান থেকে সোহান একা গোগ্রাম বাজারে চলে যান।

পরে গোগ্রাম গ্রামে এএসআই আনোয়ার হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় লোকজন। তাকে উদ্ধারে পুলিশের একটি গাড়ি সেখানে যায়। ইটপাটকেল মেরে গাড়িটি ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা। তখন পুলিশের লাঠিপেটায় কয়েকজন আহত হন। পরে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন ও গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছে। আর তদন্ত কেন্দ্র থেকে চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কেন তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে সেটি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।

তদন্ত কেন্দ্র থেকে প্রত্যাহার হওয়া এসআই রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি কোনো ঘটনার সাথে জড়িত না। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, আমাকে পুলিশ লাইনে রাখা দরকার, তাই রেখেছে।’

জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারা এই অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে। এখন একটি ঘটনা সেখানে ঘটেছে। সে জন্য তদন্তের স্বার্থেই চার পুলিশ সদস্যকে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়