ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বৃহস্পতিবার হাবিপ্রবিতে পিঠা উৎসব

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৭, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৩:১৭, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
বৃহস্পতিবার হাবিপ্রবিতে পিঠা উৎসব

শীতের সঙ্গে পিঠার মধুর সম্পর্ক সেই প্রাচীন থেকেই। বিশেষ করে বাঙালিদের সঙ্গে বিষয়টি যেন একটু বেশিই যায়। শীত আসলেই বাংলাদেশের ভোজন রসিক মানুষ পিঠার স্বাদ নেওয়া শুরু করেন। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে জমে উঠে পিঠাপুলির আয়োজন।

কিন্তু সেখানে একটা জনগোষ্ঠী সেই আয়োজনের বাইরে থাকেন। তারা হলেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মতো হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা গ্রহণের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে দিনাজপুরের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে থেকে পড়াশোনা করছে। এর অন্তর্ভূক্তিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক, কর্মকর্তা,কর্মচারীরাও। যারা কিনা পরিবার পরিজন ছেড়ে এসে তাদের কর্মস্থলে সময় কাটাচ্ছেন।

এসব মানুষগুলো ঠিকমতো উপস্থিত থাকতে পারেন না তাদের কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে। যান্ত্রিকতার মধ্যে সবারই প্রয়োজন হয় কিছুটা বিনোদনের। তাইতো বিজয়ের মাসকে আরও বর্ণিল করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে। করোনার পর এটিই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যেগে প্রথম পিঠা পুলির আয়োজন।

পিঠা পুলির এই আয়োজনে শিক্ষার্থীরাও বেশ আনন্দিত। পিঠা উৎসবের এই আয়োজনকে আরও জাঁকজমকপূর্ণ করতে থাকছে গানের অনুষ্ঠানও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের অংশগ্রহণে হবে এ গানের অনুষ্ঠান। গানের অনুষ্ঠান সফল করতে শিল্পীরা অনেক আগে থেকেই করছে অনুশীলন।

বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসনের এমন সুন্দর আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোছা. বিপা খাতুন বলেন, শীত এলেই পিঠা পুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর প্রথম পিঠা উৎসব হতে যাচ্ছে। আয়োজনটি নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। আশা করি অনেক সুন্দর হবে। আমরা বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রসহ সবাই অনেক মজা করব।

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম রাসেল বলেন, প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ। একদিনে দুটি সুন্দর আয়োজন হবে বিষয়টি ভাবতেই ভালো লাগছে। এক পাশে গান, অন্য পাশে গরম গরম পিঠা। গান শুনবো আর পিঠা খাবো এ যেন ভাবতেই আমার অন্য রকম লাগছে। যেন তরই সইছে না। এমন আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশের প্রকৃত সংস্কৃতির চর্চা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে তারা যেন প্রতিটি মহান বিজয় দিবসে এমন আয়োজন রাখে।

পিঠা উৎসবের এই আয়োজনে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের  বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর পিঠার স্টল থাকবে বলে জানা গেছে। সেখানে  ভাপা, পিঠাপুলি, চন্দ্রপুলি, ক্ষীরপুলি, চিতই, পোয়া,নারিকেল, পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন নামের ও স্বাদের নকশা পিঠা পাওয়া যাবে।

বিজয়ের আমাজে বাঙালি গানের তালে পিঠা উৎসবের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন জানান, বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পিঠা ওতপ্রোতভাবে জড়িত বিশেষ করে শীতের পিঠা। আমরা চাই যে বাংলাদেশের বাঙালি চর্চার সঙ্গে পিঠার যে ঐতিহ্য সেটা নতুন প্রজন্মের জানানোর জন্যই মূলত এ উৎসব।

/সংগ্রাম/মেহেদী/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়